শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনকে ছাড়াই বর্ধিত সভার আয়োজন করে এমপির অনুসারীরা। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী মনোনয়ন দিতে এ সভার আহ্‌বান করা হয়। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে ডাকা না হলেও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সভাস্থলে গেলে এমপির অনুসারীরা তাদের ওপর চড়াও হয়। এরপর দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তানোর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বর্ষিত সভা শুরু হয় বিকাল ৫টার দিকে। জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন। তবে মঞ্চে সামনের সারিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনকে বসতে দেননি এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর অনুসারীরা। এ নিয়ে মামুনের সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এরই একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সভাস্থলে চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। শুরু হয় ইট পাটকেল নিক্ষেপ। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকে মিলনায়তনের পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসলে সভাস্থলে আসেন স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।

এরপর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ছাড়াই শুরু হয় বর্ধিত সভা। সভা শেষে ভাঙচুরের ঘটনার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনকে দায়ী করেন স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার পর পরিস্থিতি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

সভা শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ দেবনাথ ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে চেয়ারম্যানের দফতরে বৈঠক করেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। এরপর ভাঙচুরের ঘটনায় দুই আওয়ামী লীগ নেতাসহ তাদের অনুসারীদের নামে মামলার নির্দেশ দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর