শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় দুটি নাটক ও একটি যাত্রাপালা এবং সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উন্মুক্ত মঞ্চে বাউল গানের মধ্য দিয়ে পর্দা নামল ১২ দিনের গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবের। গতকাল সমাপনী সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চায়ন করে ‘একটি লৌকিক অথবা অলৌকিক স্টিমার’, একই সময়ে পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের নাটক ‘তৃতীয় একজন’ ও স্টুডিও থিয়েটার হলে যাত্রাপালা ‘একাত্তরের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ পরিবেশন করে যাত্রার দল জয়যাত্রা। একই সময়ে সন্ধ্যা ৭টায় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনের সাংস্কৃতিক আয়োজনে ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামের নৃত্যনাট্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস এবং ‘বাঙালি-বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামের আবৃত্তি পরিবেশন করে মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। এর আগে বিকালে নাট্যশালার উন্মুক্ত মঞ্চে বাউল গান পরিবেশন করে বরেণ্য বাউলরা। মঞ্চনাটক, পথনাটক, মূকাভিনয়, নৃত্যালেখ্য, সংগীত আবৃত্তি, নৃত্য, ধামাইল গান, গম্ভিরা, বাউল গানসহ নানা আয়োজন নিয়ে এবারের উৎসবে সারা দেশের ১৪০টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিল্পী অংশ নেয়। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় নাটক মঞ্চায়নের পাশাপাশি বিকাল ৪টা থেকে উন্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠি হয় নাচ, গান, আবৃত্তিসহ নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার তিন মিলনায়তন, সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তন ও উন্মুক্ত মঞ্চসহ একযোগে একাডেমির পাঁচটি মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় এবারের উৎসব।
গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক পর্ষদের আয়োজনে গত ১ অক্টোবর শুরু হয় এ উৎসব। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয় এবারের উৎসব।