উন্নয়ন কাজে দুই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) ও খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মধ্যে টানাপোড়েন দীর্ঘদিনের। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, সড়ক সংস্কার, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার দুর্ভোগ নিয়ে প্রায়ই মুখোমুখি অবস্থানে ছিল দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে এবার উন্নয়ন কাজে সমন্বয়ে আহ্বান জানিয়েছেন খোদ সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। একইভাবে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে সিটি মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করেই সমন্বয়ের উদ্যোগ নিয়েছে কেডিএ। খুলনার উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে উভয় সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের গুরুত্বারোপ করে সিটি মেয়র বলেন, ‘উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা সম্প্রসারণে উন্নয়ন কাজে কেডিএর সঙ্গে কেসিসি সমন্বয় করতে চায়। সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে খুলনাকে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ প্রচেষ্টা বাস্তব রূপ দিতে কেডিএর সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। নগরায়ণের ক্ষেত্রে সংস্থাটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করে থাকে এবং সেই প্ল্যানের ভিত্তিতে নগরায়ণ ত্বরান্বিত করতে হয়।’ গতকাল বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবসর আলোচনা সভায় সিটি মেয়র এসব কথা বলেন। একইভাবে কেডিএ চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুল ইসলাম খুলনার উন্নয়নে বিভিন্ন সংস্থার কাজে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিষয়টি এখন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ১৯ ডিসেম্বর খুলনার সব উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয় বৈঠক করা হবে। সেখানে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কোন প্রতিষ্ঠান কি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় এবং কেডিএর কাছে কি প্রত্যাশা করে সব নিয়েই আলোচনা করা হবে। প্রয়োজনে সেখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও সম্পৃক্ত করা হবে।
কেডিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, স্বাস্থ্যকর খুলনার উন্নয়নে কেডিএ সবসময় তার অবস্থান থেকে ছাড় দিয়েছে। উন্নয়ন কাজে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলেও সিটি মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করেই সমন্বয় করা হচ্ছে।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান জানান, কেসিসি-কেডিএর টানাপোড়েনে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে নাগরিক ভোগান্তি রয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উন্নয়ন কাজের সমন্বয় হলে কাক্সিক্ষত নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে।