বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এ সরকারের একটা ভয়- দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে গ্রামে গ্রামে ব্যানার লাগিয়েও আওয়ামী লীগকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হলো। সেখানেও আওয়ামী লীগ নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে। তাতে বহু আহত হয়েছেন, মারাও গেছেন। নিজেরা নিজেরা ভোট করেছেন, সেখানেও ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। তিনি গতকাল ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে বক্তৃতা করছিলেন। ঢাকা জেলা বিএনপি সভাপতি ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের পরিচালনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম মাস্টার, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায়চৌধুরী, ঢাকা জেলা বিএনপির মফিজুল রহমান পলাশ, ছাত্রদলের রবিউল ইসলাম অমিত, তমিজ উদ্দিন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে না। আজ দেশে গণতন্ত্র নেই, ভোটাধিকার নেই।

দেশে মানুষের কোনো অধিকার নেই। এখান থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন এ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ১১ বছরের সাজা প্রদানের বিষয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, যে কদিন এস কে সিনহা সরকারের খায়েশ মেটাতে পেরেছেন, ওই কদিন ভালো ছিলেন। কেন তাকে পদত্যাগ করালেন? কেন বিদেশে পাঠালেন? বিচার বিভাগের কী অবস্থা?