মোংলা বন্দরে চারটি বগি ও দুটি ইঞ্জিন নিয়ে আসা ঢাকা মেট্রোরেলের সরঞ্জাম গতকাল সকালে বন্দর জেটির ৯ নম্বর জেটিতে খালাস শুরু হয়েছে। পানামা পতাকাবাহী ‘ব্রাইটলি কোরাল’ জাহাজটি শুক্রবার রাতে মেট্রোরেলের চারটি বগি ও দুটি ইঞ্জিন নিয়ে মোংলা বন্দরে নোঙর করে। এই জাহাজে মেট্রোরেলের বগি ছাড়াও ৮০ প্যাকেজের ৪২৩ মেট্রিক টনের সরঞ্জাম খালাসের পর নৌপথে নিয়ে যাওয়া হবে ঢাকার দিয়া বাড়ীর মেট্রোরেলের ডিপোতে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পানামা পতাকাবাহী বিদেশি জাহাজ ‘এম ভি ব্রাইটলি কোরালে’র স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানির ব্যবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এ পর্যন্ত ছয়টি জাহাজে করে মেট্রোরেলের ৪৮টি বগি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। আগামী মাসে মেট্রোরেলের আরও একটি চালান আসার কথা রয়েছে। সবমিলে ২০২২ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের আরও ৯৮টি বগি ও ইঞ্জিন আসবে বলেও জানান তিনি। এর আগে পাঁচটি জাহাজে করে সর্বমোট ৪৪টি বগি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। এসব বগি সংযোজন হয়ে ইতিমধ্যে বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
২৯ আগস্ট উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত মেট্রোরেলের বাস্তবে পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, দেশে আমদানি হওয়া মেট্রোরেলের এসব বগি মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হওয়ার ক্ষেত্রে বন্দরের সক্ষমতার প্রমাণ মিলেছে। এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন মালামাল ও যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে আসে। সবমিলিয়ে এটা একটা প্রতিফলন যে মোংলা বন্দর একটি গতিশীল বন্দর হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে এবং বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মেট্রোরেলের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি (ডিএমটিসিএল) বলছে, রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দেশের প্রথম মেট্রোরেল-৬ নির্মিত হচ্ছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে।