মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে ফাটল ধরাতে তৃতীয় পক্ষের হাত দেখছে ১৪ দল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক ফাটল ধরাতে তৃতীয় পক্ষের হাত দেখছেন ১৪-দলীয় জোটের নেতারা। সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা আরও জোরদার এবং বন্ধু দেশগুলোর কাছে সব বিষয়ে ‘সঠিক তথ্য’ তুলে ধরার পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন জোটের নেতারা। গতকাল এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় জোট নেতাদের বক্তব্য বিশ্লেষণে এ বিষয়গুলো ওঠে এসেছে। ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি রেজাউর রশীদ খান, অ্যাডভোকেট এস কে শিখদার, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এজাজ আহম্মেদ মুক্তা, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. ওয়াজেদ ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘সারা বিশ্বে যখন জঙ্গিবাদ আলোড়িত একটি বিষয়, সেই সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা হয়েছে। জঙ্গি নির্মূলে যে সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদান, সেই সংস্থাকে আঘাত করা হচ্ছে কেন আমাদের বোধগম্য নয়। আজকে বঙ্গোপসাগর নিয়ে যে বলয় সৃষ্টি হয়েছে, সেই বলয়ে আমাদের দেশ অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার কারণেই চাপ প্রয়োগ হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। এ সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ভুল সিদ্ধান্ত।’ তিনি বলেন, ‘এখানে তৃতীয় কোনো শক্তি আমাদের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরাচ্ছে কি না বা এ ধরনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টির কোনো প্রয়াস আছে কি না বা তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার। যে বাহিনী নারী পাচার রোধ, মাদক চোরাচালান রোধসহ জঙ্গিবাদ নির্মূলে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে তাদের বিষয়ে কেন এমন সিদ্ধান্ত। তাদের সিদ্ধান্ত বদলানো উচিত।’

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন কোনো দেশের সরকারকে পছন্দ না করে বা তার ইচ্ছা অনুযায়ী সরকার পরিবর্তন করতে চান, তখন তাদের ওপর বিভিন্ন দোষারোপ করে। ট্রাম্পের নেতৃত্বে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা হলেও বিশ্ব নেতৃত্ব থেকে পিছিয়ে গেছে। বাইডেন কিন্তু ঘোষণাই দিয়েছেন তিনি বিশ্ব নেতৃত্বে ফিরতে চান। এ জন্য বিভিন্ন দেশকে তাদের বলয়ভুক্ত করার চেষ্টা করছেন। এ অঞ্চলেও তারা প্রভাববলয় সৃষ্টি করতে চাইছে। গণতন্ত্রের সম্মেলনে দাওয়াত না দেওয়ার পেছনে সেই ভূরাজনীতিই কাজ করেছে।

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, এই বিজয়ের মাসে যুক্তরাষ্ট্র কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার দেশটিতে প্রবেশধিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সঙ্গে বৈসাদৃশ্য। সংবিধানের বিধান সমুন্নত রেখেই র‌্যাব আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে থাকে। র‌্যাব-পুলিশসহ সব বাহিনী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশেও যদি বাহিনীর কোনো সদস্য বিধান ও আইনের বাইরে গিয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটান, তাকে সাজা দেওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জে সাত হত্যাকাণ্ডে বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিচারে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর