বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বীরাঙ্গনা মাজেদার খেতাব বাতিলের প্রজ্ঞাপন হাই কোর্টে স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের শিকার ঠাকুরগাঁওয়ের বীরাঙ্গনা মাজেদার মুক্তিযোদ্ধা খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে রুল জারি করেছে আদালত। গতকাল বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন। মাজেদা জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার রাউতনগর গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দীনের স্ত্রী। এর আগে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি এবং বন্ধ হওয়া ভাতা ফেরত পেতে হাই কোর্টে রিট করেন মাজেদা। তিনি ‘বীরাঙ্গনা’ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়ে চার বছরের বেশি সময় সরকারি ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন।

রিটসূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতনের শিকার ‘বীরাঙ্গনা’ মাজেদাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই থেকে তিনি প্রতি মাসের ভাতাসহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছিলেন। তবে একই এলাকার মৃত দারাজ উদ্দিনের স্ত্রী আরেক মাজেদার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই ও শুনানির পর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর আরেকটি গেজেট জারি করা হয়। সেই গেজেটে মৃত দারাজ উদ্দিনের স্ত্রী মাজেদাকে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

২০১৬ সালের গেজেটে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া মৃত তসলিম উদ্দীনের স্ত্রী মাজেদার ভাতা ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। কেন মাজেদার ভাতা ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হলো তার যথাযথ কারণ জানতে চেয়েও উত্তর পাননি বলে জানান তসলিম উদ্দীনের স্ত্রী মাজেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন। তিনি বলেন, ‘আমার মক্কেল যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার চিঠি দিয়েও তাঁর স্বীকৃতি ও ভাতা বাতিলের কোনো কারণ জানতে পারেননি। একপর্যায়ে বীরাঙ্গনা মাজেদার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের কারণ ও তাঁর ভাতা এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা পুনর্বহাল চেয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বরাবর লিগ্যাল নোটিস দেওয়া হয়। সে নোটিসের জবাব না পেয়ে হাই কোর্টে রিট করা হয়।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর