রংপুরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ট্রাক্টরচাপা দিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহত পরীক্ষার্থীকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তার বাম পা কেটে ফেলেন। ডান পাটিও কেটে ফেলার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় ওই পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে না পেরে পঙ্গত্ববরণ করতে চললেও পুলিশ মামলা নেয়নি। গতকাল দুপুরে রংপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার মা মানিকা বেগম, বাবা আনোয়ার হোসেনসহ পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রংপুর আনন্দলোক ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মিল্লাত মিয়া ২৯ নভেম্বর বিকালে গঙ্গাচড়া উপজেলার দক্ষিণ কোলকোন্দ এলাকার চেংডোবা গ্রামে জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ সাহেব আলী কৌশলে মিল্লাত হোসেনকে ডেকে নিয়ে ট্রাক্টরে উঠতে বলেন। এ সময় মিল্লাত ট্রাক্টরে উঠার চেষ্টা করলে চালক পরিকল্পিতভাবে তাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে মিল্লাত গুরুতর আহত হন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করেন।
সেখানে চিকিৎসকরা মিল্লাতের বাম পা টি হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলেন। তার ডান পা টিও কেটে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পা হারানোর কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি। তীব্র যন্ত্রণায় হাসপাতালে ছটফট করছেন মিল্লাত মিয়া। বর্তমানে প্রতিপক্ষ মিল্লাতের পরিবারে সদস্যদের বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দিচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মিল্লাতের চাচা ইব্রাহীম মিয়া জানান, ঘটনার পর এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা করার জন্য গেলে পুলিশ সেটি রেকর্ড করেনি।এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া থানার ওসি সুশান্ত কুমার সরকার জানান, আমার কাছে কেউ মামলা করতে আসেনি। এলে মামলা নিবেন বলে তিনি জানান।