শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
বসুন্ধরার কম্বল পেয়ে সোনাবান

আপৎ-বিপদ দূর হইয়ে যাক, সেই দোয়া করি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

আপৎ-বিপদ দূর হইয়ে যাক, সেই দোয়া করি

‘আমার স্বামী-সন্তান কেউ নাই। আমি একা, সব মইরে গেছে। ভিক্ষা কইরে খাই। তয় এখন আর শীতে কষ্ট পাবো না। ওরে দোয়া করি। ও ভালো থাকুক সুস্থ থাকুক। আপৎ-বিপদ দূর হইয়ে যাক, সেই দোয়া করি।’ খুলনায় বসুন্ধরা গ্রুপের কম্বল হাতে পেয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ করে এসব কথা বলেন সত্তরোর্ধ্ব অসহায় বিধবা নারী সোনাবান বেগম। বসুপাড়ার কবরস্থানের কাছে একটি খুপরিঘরে তিনি একাই থাকেন। একইভাবে কম্বল পেয়ে গল্লামারী এলাকার বয়োবৃদ্ধ শান্তি দাস বলেন, ‘আমার স্বামী নাই। ছেলেটি অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়ে আছে। এই কম্বলটা ওরে দেব, শীতের হাত থেকে তো বাঁচতে পারবে। যারা কম্বলটা দিলেন তারা যেন অনেক দিন বেঁচে থাকেন। সৃষ্টিকর্তা তাদের ভালো রাখুক।’

গতকাল খুলনায় দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রায় দুই হাজার শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। বসুন্ধরার কম্বল পেয়ে আবেগাপ্লুত হন শীতার্ত হতদরিদ্ররা। নগরীর গল্লামারী লায়ন্স স্কুল অডিটরিয়ামে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের আয়োজনে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। আজ খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেতকাশী ও দক্ষিণ বেতকাশীতে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হবে।

জানা যায়, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় ১৮ হাজার শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পক্ষ থেকে বাছাই করে প্রকৃত শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ৫০ হাজার মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হবে।

কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান জানান, ঠান্ডায় বসুন্ধরা গ্রুপের এই কম্বল পেয়ে শীতার্ত মানুষের উপকার হয়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে এত দিন অনেকে কষ্ট পাচ্ছিলেন। কম্বল পেয়ে শীতার্ত মানুষের মুখে হাসি ও কৃতজ্ঞতাবোধ লক্ষ্য করা গেছে।

খুলনা সিটি (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বসুন্ধরার অবস্থান এক নম্বর। তারা আগে থেকেই বিভিন্ন স্থানে অসহায় মানুষদের সহায়তা দিয়ে আসছে। আমরা মনে করি শুধু বসুন্ধরা গ্রুপই নয়, যাদের অর্থ-সম্পদ আছে এভাবে সবাই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে তাদের দুর্ভোগ কমবে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেসিসি প্যানেল মেয়র আলী আকবার টিপু, কালের কণ্ঠ খুলনা ব্যুরোপ্রধান গৌরাঙ্গ নন্দী, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোর ব্যুরোপ্রধান সামছুজ্জামান শাহীন, কালের কণ্ঠ খুলনার নিজস্ব প্রতিবেদক কৌশিক দে, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাফি, জীবন, জেবিন, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের খুলনা সভাপতি বিপুল কান্তি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সাঈদ খান, দয়াল কৃষ্ণ সানা, কাজী মাহবুব রহমান, নজির আহম্মেদ, কার্তিক চন্দ্র দাশ, রাজীব সরকার রাহুল, মুহাইমিনুল ইসলাম মাহিন, আবদুল কাদের সুমন, ইদ্রিস আলী জোয়ার্দার, ইয়াছিন আরাফাত, চিরঞ্জিত সরকার, সিদ্ধার্থ সরকার, জয়ন্ত সরদার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর