শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ঢাকায় ১০ দিন গ্যাস সংকটের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সামিটের এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের সংস্কার কাজের জন্য গ্যাসের ঘাটতি সৃষ্টির শঙ্কা করছে জ্বালানি বিভাগ। এ অবস্থায় বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০ দিন গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে। ফলে আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকবে। ধারণা করা হচ্ছে- আবাসিক এলাকা ছাড়াও সিএনজি, শিল্প ও বাণিজ্যে এই ঘাটতি হতে পারে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস কর্তৃপক্ষ জানায়, কারিগরি কারণে গত ১২ থেকে আগামী ২১ জানুয়ারি তিতাস অধিভুক্ত এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকতে পারে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে। তিতাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে। তিতাসের অধিভুক্ত এলাকাগুলোতে এই স্বল্প চাপ থাকতে পারে। তবে নির্দিষ্ট করে কোনো এলাকায় নয়, সব এলাকাতেই গ্যাস ঘাটতি হতে পারে।

প্রসঙ্গত শেভরন বাংলাদেশ পরিচালিত গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা সংস্কারে গেছে। এতে প্রতিদিন অন্তত ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হতে পারবে না।

এ ছাড়া সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মুরিং ছিঁড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন ঘাটতি রয়েছে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এতে দৈনিক গ্যাস ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। গত ১৮ নভেম্বর সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মুরিং ছিঁড়ে যায়। এতে টার্মিনালটিতে কোনো এলএনজি কার্গো ভিড়তে পারছে না। মহেশখালীতে দুটি ভাসমান টার্মিনাল দিয়ে দিনে ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব। বছরের কোনো কোনো সময় দিনে ৯০ কোটি ঘনফুট গ্যাসও সরবরাহ করা হয়। শীতে পাইপলাইনের ভিতর পানি জমে যাওয়ায় গ্যাসের সংকট দেখা দেয়। এর সঙ্গে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার বিষয়টিও জড়িত।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, কারিগরি কারণে গত ১২ জানুয়ারি থেকে আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিতাস গ্যাস অন্তর্গত এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকতে পারে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর