আম গাছের সারির ফাঁকে আছে থাই পেয়ারার গাছ। এসব গাছে ঝুলছে ছোট-বড় পেয়ারা। গাছের কোনো কোনো ডালে ফুল ও মুকুল ধরে আছে। প্রতিটি পেয়ারা পলিথিন দিয়ে ব্যাগিং করা হয়েছে। বাগানে সাত থেকে আটজন শ্রমিক পেয়ারা ও আম গাছ পরিচর্যার কাজ করছেন। সাপাহার উপজেলার তিলনা ইউনিয়নের দোয়াশ গ্রামের রায়হান আলম। নিজের প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যেই তিনি ৫০ বিঘা জমিতে ফ্রুট ব্যাগিং ও ঝোপ পদ্ধতিতে থাই পেয়ারা চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। ৫০ বিঘা জমিতে আড়াই বছর আগে নাবি জাতের গৌড়মতি আমের ৭ হাজার গাছ লাগান রায়হান। আম গাছ লাগানোর তিন মাস পর আম গাছের সারির ফাঁকা জায়গায় থাই জাতের ৫ হাজার ২০০ পেয়ারা গাছ লাগান। প্রতি সপ্তাহে ৫০-৬০ মণ পেয়ারা বিক্রি করেন তিনি।
নওগাঁর পোরশার ছাওড় ইউনিয়নের বন্ধুপাড়া এলাকার বাগান থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছিলেন। চলতি মৌসুমে গত বছরের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছেন। এই মৌসুমে প্রায় ৫৫ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি হওয়ার কথা। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করা অবস্থায় ২০০৪ সালে শখের বশে বাড়ির পাশে নিজেদের চার বিঘা জমিতে আম রুপালি গাছের বাগান করেন রায়হান। ওই বাগান পরিচর্যা করে দুই বছরের মাথায় আম বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা আয় করেন।