রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
ওয়েবিনারে কর ও মূল্যবৃদ্ধির দাবি

সিগারেট কোম্পানিগুলো বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য ছড়ায়

তামাকের ওপর কর ও এর মূল্যবৃদ্ধির দাবি জানিয়ে গতকাল এক ওয়েবিনারে তামাকবিরোধী আন্দোলনের নেতারা বলেন, কর ও মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে যাঁরা নীতিনির্ধারক তাঁদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে সিগারেট কোম্পানিগুলো মিথ্যা তথ্য ছড়ায়। যেমন তারা বলে দেশে সিগারেটে কর অনেক বেশি, কর বাড়ালে চোরাচালান বাড়বে এবং সরকার রাজস্ব হারাবে, সবচেয়ে বেশি কর দেয় তামাক কোম্পানি, কর বেশি হলে দেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ নিরুৎসাহ হবে ইত্যাদি। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২১ সালের তথ্যমতে সবচেয়ে কম দামে সিগারেট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫টি দেশের মধ্যে ১০৭তম। ভারতে সবচেয়ে কম দামি সিগারেটের মূল্য বাংলাদেশের কম দামি সিগারেটের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। কার্যকর করারোপের অভাবেই বাংলাদেশে সিগারেট সস্তা থেকে যাচ্ছে।

গতকাল তামাক কর মূল্য পদক্ষেপ : কোম্পানি কূটকৌশল ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারটি  ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের সহযোগিতায় আয়োজন করে ‘প্রজ্ঞা’ (প্রগতির জন্য জ্ঞান)। বিজ্ঞপ্তি।

অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু তথ্য পেশ করেন প্রজ্ঞার তামাক নিয়ন্ত্রণবিষয়ক প্রকল্পপ্রধান হাসান শাহরিয়ার। আলোচক ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, সাংবাদিক দৌলত আক্তার মালা, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সিগারেট থেকে যে রাজস্ব আসে তার প্রায় পুরোটাই (৯৬%) পরোক্ষ কর হিসেবে ভোক্তাই পরিশোধ করে। কাজেই সিগারেট কোম্পানিগুলো সবচেয়ে বেশি কর দেয় এটি মোটেও সত্য নয়। ওয়েবিনারে তামাকবিরোধী আন্দোলনের নেতারা বলেন, তামাক ব্যবহারের কারণে দেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়, পঙ্গুত্ববরণ করে আরও কয়েক লাখ। তাই জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক কোম্পনির হস্তক্ষেপমুক্ত থেকে বাজেটে তামাকের ওপর কর ও মূল্য বৃদ্ধি প্রয়োজন।    

সর্বশেষ খবর