সাভারে হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে লাঠিপেটার অভিযোগ করেছেন টিকা নিতে আসা শ্রমিকরা। সরেজমিনে ওই টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে লাঠিপেটার সত্যতা পাওয়া গেছে। বিশৃঙ্খলা, হুড়োহুড়ি আর লাঠিপেটার ঘটনায় টিকা নিতে না পেরে অনেক শ্রমিক হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। গতকাল সকালে টিকা দেওয়া শুরু হলে টিকা নিতে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। একপর্যায়ে গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতালে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করেন। সকাল ১০টার দিকে টিকা দেওয়া শুরু হলে আগে টিকা নিতে শ্রমিকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। একপর্যায়ে শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা শুরু করে স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশ। লাঠিপেটা থেকে বাঁচতে শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করতে থাকে। অনেকেই পড়ে গিয়ে আহত হন। ওই কেন্দ্রে রেড ক্রিসেন্টের টিম লিডার লিজা আক্তার, ইমন, সুমাইয়া আক্তার সূচনা, কামরুল হাসান ইমন, আকিক, মোমিসুল ইসলাম ও তৈরি পোশাক শ্রমিক সালমা আক্তার, নূর ভানু, সেলিনা আক্তার, পারুল বেগম, নুরুল ইসলাম, রুবেল আহমেদ, পরিতোষ রায়, রফিকুল ইসলাম, রবিউল হাসান ও পুলিশসহ ৩৫ জন আহত হন। তবে রেড ক্রিসেন্টের টিম লিডার লিজা আক্তার বলেন আমার স্বেচ্ছাসেবকেরা কাউকে লাঠিপেটা করেননি করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ থাকবে তাই মানুষ এক সঙ্গে টিকা নেওয়ার জন্য ভিড় করছেন। বিশৃঙ্খলা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। সামাল দিতে স্বেচ্ছাসেবকেরা হয়তো হাতে লাঠি নিয়েছিলেন। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম বলেন, সাভারে করোনার টিকা নিতে আসা লোকের ওপর লাঠিপেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা কেন ঘটল তা খতিয়ে দেখব।