রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় চিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল হত্যা মামলায় আরও দুই ছিনতাইকারী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন রায়হান ওরফে আপন ও রাসেল হোসেন হাওলাদার। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান আসামি রায়হান ও ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদী আসামি রাসেলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে আসামি সোলাইমান ও আরিয়ান ওরফে হাফিজুল দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এ আসামিরা রিমান্ডে থাকাকালে ঘটনার বিষয়ে আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর জোনাল টিমের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে আবেদন করেন। মামলাসূত্রে জানা যায়, শেওড়াপাড়ার একটি বাসায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন চিকিৎসক বুলবুল। ডা. বুলবুল চিকিৎসার পাশাপাশি ঠিকাদারি ব্যবসাও করতেন।
১৫ দিন আগে সরকারি কাজের টেন্ডার পান। ২৭ মার্চ ভোর ৫টার দিকে নোয়াখালী যাওয়ার জন্য বের হন। রিকশাযোগে কাজীপাড়া বেগম রোকেয়া সরণিতে নাভানা শোরুমের সামনে পৌঁছলে কয়েকজন তার রিকশার গতিরোধ করে আটকে দেয়।
এরপর বুলবুলের কাছে থাকা স্মার্ট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে চাইলে বুলবুল বাধা দেন। এ সময় ধ্বস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে সুইচ গিয়ার চাকু বের করে বুলবুলের ডান ঊড়ুতে আঘাত করে। এতে রক্ত বের হতে থাকে। তখন তারা ফোনটি নিয়েই পালিয়ে যায়। পরে রাস্তায় ছুরিকাঘাত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে একজন রিকশাচালক ও পথচারী মিলে উদ্ধার করে তাঁকে স্থানীয় আল হেলাল হাসপাতালে নিয়ে যান।এ ঘটনায় ডা. বুলবুলের স্ত্রী শাম্মী আক্তার মামলা করেন। পরে পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে ছিনতাইকারীরদের সম্পৃক্ততা পায়।