থানায় বসে আড়াই লাখ টাকায় ধর্ষণের ঘটনা আপস-মীমাংসা করায় আশুলিয়া থানার এসআই ফরিদুল আলমকে গতকাল ক্লোজ করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় স্থানীয় সাকিব ভূইয়ার (২৮) বিরুদ্ধে এক নারী পোশাক শ্রমিককে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত সাকিব ভূইয়া আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকার শাহ আলম ভূইয়ার ছেলে। তিনি ঘোষবাগে ইলেকট্রনিকস ও ফার্নিচারের ব্যবসা করতেন। জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই পোশাক শ্রমিক আশুলিয়া থানায় শাকিবের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ করলে সেই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পান থানার এসআই ফরিদুল আলম। পরে তিনি অভিযুক্তের সঙ্গে আঁতাত করে আড়াই লাখ টাকায় ঘটনাটির মীমাংসা করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী বলেন, এসআই ফরিদ ও আরও কয়েকজন স্থানীয় লোক থানায় বসেই আমাকে আড়াই লাখ টাকা দিয়ে মীমাংসা করায়। তারা বলে, ‘মামলায় গেলে অনেক ঝামেলা, অনেক খরচ, তুমি মীমাংসা করে নাও।’ অভিযোগ সম্পর্কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার সিনিয়র কর্মকর্তারা বলতে পারবেন।’