শনিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

তিন দফা মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি ডিএনসিসি পার্ক ও মাঠের কাজ

♦ আজ উদ্বোধন ৭ পার্ক ও মাঠের ♦ ৪টির সংস্কার কাজ চলছে ♦ প্রকল্প থেকে ৪ পার্ক বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন দফা মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি ডিএনসিসি পার্ক ও মাঠের কাজ

তিন দফা মেয়াদ বাড়িয়েও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২২টি পার্ক ও খেলার মাঠের সংস্কার কাজ শেষ করতে পারেনি। প্রকল্পটির ইতোমধ্যে পাঁচ বছর পার হলেও ১৪ পার্ক ও মাঠের সংস্কার কাজ শেষ করতে পেরেছে মাত্র। এর মধ্যে আজ শনিবার সাতটি পার্ক ও মাঠের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। এ ছাড়া বাকি আটটির মধ্যে চারটি পার্ক পরিকল্পনা কমিশনের সংশোধনীতে বাতিল হয়েছে। আর চারটির কাজ চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নানান জটিলতা থাকায় পার্ক ও মাঠের সংস্কার কাজ শেষ হতে দেরি হয়েছে। তবে কাল (শনিবার) সাতটি পার্ক ও মাঠের উদ্বোধন করা হবে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে পাঁচটি পার্ক ও দুটি মাঠের উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে এবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাকিগুলোর সংস্কার কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ‘উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন’ প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ একনেক অনুমোদন করে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত হয়। পরে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। পরবর্তী সময়ে আরও এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এবার ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। মূল অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ২২টি পার্ক ও চারটি খেলার মাঠের উন্নয়ন বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। কিন্তু সংশোধিত ডিপিপিতে চারটি পার্ক বাদ দিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রস্তাব করা হয়েছে ১২৯ কোটি ৯৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা।এদিকে আজ শনিবার সাতটি পার্ক ও মাঠের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এ মাঠগুলো হলো-

শ্যামলী পার্ক : এ পার্কের আয়তন ১.৮৮ একর। সংস্কারে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এ পার্কটি ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার জন্য উপযোগী করা হয়েছে। একইসঙ্গে নাগরিকদের বিশ্রামের জন্য বসার স্থান ও প্রচুর গাছ রোপণ করা হয়েছে। 

হুমায়ুন রোড পার্ক : এ পার্কটি ১.৬০ একর। সংস্কার কাজে ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। পার্কটিতে খেলাধুলা ও দর্শনার্থীদের জন্য ছায়াঘেরা পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। 

ইকবাল রোড পার্ক : এ পার্কটি ১.৬১ একর। সংস্কার কাজে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

বনানী সি ব্লক পার্ক : এ পার্কটির আয়তন দশমিক ৯০ একর। ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া বনানী এফ ব্লক পার্ক ও বারিধারা পার্ক এবং রায়ের বাজার বৈশাখী খেলার মাঠ।

চার পার্ক বাতিল : বারিধারা নার্সারি পার্ক, ফার্মগেট আনোয়ারা উদ্যান, ফার্মগেট ত্রিকোণ পার্ক এবং মিরপুর গুদারাঘাট এ চারটি পার্ক বাদ দেওয়া হয়েছে। বারিধারা পার্কটি বারিধারা সোসাইটি উন্নয়ন করেছে। ফার্মগেটে অবস্থিত পার্ক দুটি মেট্রোরেলের কারণে এবং মিরপুরের পার্কটি মালিকানা জটিলতার জন্য বাদ দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর