গাজীপুরের ভোগরা থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত নতুন একটি বাইপাস সড়ক হচ্ছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) হতে যাওয়া ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে বাইপাসটি নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিচ্ছে সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল)। গতকাল সচিবালয়ে ঋণ সহায়তার আওতায় বিআইএফএফএল ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডকে প্রথম কিস্তিতে ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেছে। ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ গ্রুপ করপোরেশন লিমিটেড (এসআরবিজি) এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান শামীম এন্টারপ্রাইজ ও ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড যৌথভাবে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি গঠন করেছে। চেক হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আনিছুজ্জামান, শামীম এন্টারপ্রাইজের শামীম আহমেদ, ক্রেডিট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান শেখ আনোয়ার সাদাতসহ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সময় সড়ক সচিব বলেন, গাজীপুরের ভোগরা থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি ৮ লেনের সড়ক হবে। চীনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান একত্রে এই রাস্তায় নির্মাণকাজ করছে। ভূমি অধিগ্রহণ ও পরিষেবা স্থানান্তর কাজের জন্য ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ অর্থ সরকার দেবে। চার বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা। নির্মাণের পর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ২১ বছর পর্যন্ত টোল আদায় করতে পারবে।
ঈদযাত্রায় যানজট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় যানজট অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি আবদুল্লাহপুর থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা, আবার জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল, এই করিডোরেও যানজটের অভিজ্ঞতা আছে। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে বিআরটি করিডোরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দিয়েছেন। রাস্তা চলাচলযোগ্য করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন, পরিবহন মালিকসহ সবাইকে নিয়ে যৌথভাবে পরিদর্শন করেছি আমরা। কী কী সমস্য আছে দেখছি। পরিবহন মালিকদের কিছু সুপারিশ ছিল, সেগুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। যানজট যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, ডেডলক যাতে না থাকে। সিরাজগঞ্জের নলকায় আরেকটি সেতু সোমবার খুলে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, যেসব স্থান সমস্যাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত ছিল, যানজটপ্রবণ ছিল, সেগুলো আমাদের পক্ষ থেকে অ্যাড্রেস করেছি। কাজগুলো আরও পরে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ঈদের কথা বিবেচনা করে আগেই শেষ করেছি আমরা।