দীর্ঘ বছর পর তিন দিনব্যাপী যুবলীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ, উত্তর ও মহানগরের পৃথক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পদপ্রত্যাশীরা বা সিভি জমা দেওয়া নেতারা শুরু করেছেন নানা লবিং-তদবিরও। তদবিরে পিছিয়ে নেই বিএনপি-জামায়াত ‘কানেকশন’ নেতারাও। দক্ষিণ, উত্তর ও নগরের এমপি থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতাদের বাসা, অফিস ও নানা রাজনৈতিক কর্মকান্ডে উপস্থিত হচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা। পছন্দের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, নানা অনুষ্ঠানে উপস্থিতিসহ মরিয়া হয়ে উঠেছেন তারা। তবে দলের জন্য ত্যাগী, যোগ্য, নির্যাতিত, মামলা-হামলার শিকার এমন নেতাদেরই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় যুবলীগের শীর্ষ নেতারা। প্রবীণ ও ত্যাগী নেতাদের অনেকেই বলছেন, সংগঠনের মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ ত্যাগী ও নির্যাতিত শত শত নেতা রয়েছেন। এখানে তরুণ অনেক আছেন, নেতা হওয়ার বয়স-সময় অনেক রয়েছে। এত তাড়াতাড়ি পদ-পদবির লোভ লেগে গেলে সংগঠন কীভাবে চলবে? তাছাড়া পৃথক দিন সাংগঠনিক কমিটিতে সিভি জমা দিয়েছেন বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত রয়েছে এমনও রয়েছেন। কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপদফতর সম্পাদক দেলোয়ার শাহাজাদা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন নেতারা। যুবলীগের চট্টগ্রাম জেলার তিন সাংগঠনিক কমিটির মধ্যে উত্তর জেলার শীর্ষ দুই পদের জন্য ১৯১ জনের জীবনবৃত্তান্ত বা সিভি জমা দেন। তাছাড়া অন্য পদেও সিভি জমা দিতে কেন্দ্রীয় কমিটি নির্দেশনা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি সব সিভি যাছাই-বাছাই করবেন। নানা বিষয় বিবেচনা করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পৃথকভাবে দীর্ঘ বছর পর চট্টগ্রাম দক্ষিণ, উত্তর ও নগর যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলন ঘিরে পৃথক সাংগঠনিক কমিটির নানা তৎপরতাও চলছে। এর আগে গত ৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্তও নেওয়া হয়েছে। এতে পৃথকভাবে ১৯১টি বায়োডাটা কেন্দ্রীয় কমিটিতে জমা দেন পদপ্রত্যাশীরা। ২ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, দক্ষিণ জেলা ও মহানগর যুবলীগের পদপ্রত্যাশী নেতারা কেন্দ্রীয় দফতরে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। পৃথক এ তিন কমিটিতে মোট ১৯১টি সিভির মধ্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলায় সভাপতি পদে ৯ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে সভাপতি পদে ৩৫টি আর সাধারণ সম্পাদক পদে ৭৩ জন এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় সভাপতি পদে ১৩ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৯ জনের সিভি জমা দিয়েছেন। এরপর আবারও তিন সাংগঠনিক কমিটির জন্য অন্য পদের প্রত্যাশীদের সিভি জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।