নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, কোনো ইশারা বা ওহিতে নির্বাচনের মাঠে কাজ হবে না। নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ, সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে শতভাগ গ্যারান্টি দিচ্ছে। নির্বাচনের সমতল মাঠ তৈরিতে ভোটের সঙ্গে জড়িত সিভিল প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও অন্যদের ইমানের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল মেহেরপুরে পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড মুনসুর আলম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসির যুগ্মসচিব নুরুজ্জামান তালুকদার, মেহেরপুর জেলা এনএসআইর উপপরিচালক মো. ইমদাদুল হক, খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী, জেলা পুলিশ সুপার রাফিউল আলম। স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মৃধা মো. মোজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবু আনছার।
সভায় নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, নির্বাচন একটি টিমওয়ার্ক। নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকে এ টিমের সক্রিয় অংশীদার। আইন কর্তৃক প্রত্যেকের দায়দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা আছে। আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিধিও সুনির্দিষ্ট। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর সুষ্ঠু সার্থক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব। কিন্তু নির্বাচনের সফলতা-ব্যর্থতা নির্বাচন কমিশন এককভাবে বহন করবে কেন? এ দায়দায়িত্ব সবাইকে গ্রহণ করতে হবে।প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, কিন্তু সংঘর্ষ ও রক্তপাত হবে না। পাল্টাপাল্টি হবে কিন্তু জানমালের ক্ষতি হবে না। তিনি বলেন, কেন্দ্রে ও নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো বহিরাগত প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বহিরাগতের বিষয়ে শক্ত ভূমিকা পালন করা হবে। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারে বিধিলঙ্ঘন হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশকে চেকপোস্টের মাধ্যমে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অবৈধ মোটরসাইকেল আটকের নির্দেশ দেন তিনি।