চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতরা দীর্ঘমেয়াদি নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে আহতদের মধ্যে চোখ এবং শ্বাসনালিতে আক্রান্ত হওয়া রোগীরা দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় পড়ার শঙ্কা আছে। ইতোমধ্যে চোখ এবং শ্বাসনালিতে আক্রান্তদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এবং গত সোমবার বার্ন ও চক্ষু ইউনিট পরিদর্শন করে দুই বিশেষজ্ঞ এ শঙ্কা প্রকাশ করেন। চিকিৎসকরা মনে করছেন, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের কারণে চোখ ও মুখ জ্বালাপোড়া করে ফুলে যাবে। এতে করে চোখের ক্ষতি বেশি হবে। চোখ জ্বলবে এবং লাল হয়ে যাবে। অনেক ক্ষেত্রে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। আগুন ও রাসায়নিক দ্রব্যের প্রতিক্রিয়ায় চোখের এই অবস্থা হয়ে থাকে। জানা যায়, বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের ৬৩ জনের চোখ কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে আবার ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিস্ফোরণে আহত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গতকাল দেখতে আসেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণে ৬৩ জন রোগীর চোখে নানা সমস্যা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হবে।’ চমেকের চক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. তনুজা তানজিম বলেন, ‘অনেকের চোখে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। পানি জমে চোখ ও মুখম ল ফুলে যায়। কারও চোখের কর্নিয়ায় আঘাত লেগেছে। কারও চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে গেছে। এর মধ্যে অনেকের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা নিতে হবে।’ অন্যদিকে বর্তমানে এ ঘটনায় আহত ১৬ জনকে উন্নত চিকিৎসায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।