বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
গবেষণা প্রতিবেদন

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করে খুলনার ৫৯ ভাগ পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা মহানগরীর প্রান্তিক এলাকায় ৫৯ শতাংশ পরিবার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করে। এর মধ্যে ৩৮ শতাংশ পরিবারে টয়লেটের আউটলেট সরাসরি ড্রেনের সঙ্গে সংযুক্ত। এ ছাড়া ৬০ শতাংশ পরিবার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধার অভাবে খোলা জায়গায় বর্জ্য অপসারণ করে ও ৯১ শতাংশ পরিবার ‘ডোর টু ডোর’ বর্জ্য সংগ্রহের সেবা থেকে বঞ্চিত।

নগরীর ৫ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১ হাজার ৮৫০টি পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করে বেসরকারি সংস্থা ‘সুশীলন কনসোর্টিয়াম’ এ গবেষণা প্রতিবেদন সরবরাহ করেছে। এ দুই ওয়ার্ডে ১৮ হাজার ৫০০ পরিবার বসবাস করে। শহরে বসবাসরত সাধারণ মানুষের পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা পরিষেবা কার্যকরের লক্ষ্যে এ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। সংস্থার সহকারী পরিচালক শাহিনা পারভিন জানান, নিম্ন আয়ের ৮২ শতাংশ মানুষ নিরাপদ খাবার পানি পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তিনি বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ে অপর্যাপ্ত ডাস্টবিন, সরাসরি ড্রেনে বর্জ্য ফেলা, অপর্যাপ্ত ড্রেনেজব্যবস্থা, ড্রেনের জায়গা দখল করে অবকাঠামো, তদারকির অভাব, পানি সরবরাহের অনিশ্চয়তা স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করছে। এদিকে অবস্থার উত্তরণে সুনির্দিষ্ট পরিবীক্ষণ কাঠামো (সুপারিশ) কেসিসি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেককে হস্তান্তর করা হয়। সুপারিশগুলো হচ্ছে- পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কেসিসির বাজেট বৃদ্ধি, ঢাকনাযুক্ত ড্রেনের পরিধি বাড়ানো, প্রতিটি পরিবারকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা, ২০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে পরিবেশবান্ধব ডাস্টবিন ও কেসিসির ট্রাক দিয়ে নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ ও নিরাপদ স্যানিটেশন পরিষেবা নিশ্চিত করা। বৃৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব ও নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। কেসিসির কনজারভেনসি বিভাগ ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণ-সংগ্রহ, পানি নিষ্কাশন, রাস্তা পরিষ্কারের জন্য তদারকি ফরমেট ব্যবহার করে। কিন্তু একই সঙ্গে সুশীলসমাজ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও নগরবাসীরও সংকট নিরসনে দায়িত্ব রয়েছে।’ কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আবদুল আজিজ বলেন, ‘প্রতিদিন প্রায় ৪০০ টন বর্জ্য ড্রেনে ফেলা হয়। বর্তমানে ৩০ শতাংশ মানুষের ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। পর্যায়ক্রমে এ সুবিধা বাড়ানো হবে।’ ইউএসএইডের আর্থিক ও কাউন্টার পার্ট ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহযোগিতায় প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস্ (পার) কর্মসূচির আওতায় খুলনা শহর এলাকায় বসবাসরত নাগরিক চাহিদা পূরণে পরিবেশগত সক্ষমতা তৈরি ও পরিকল্পিত নগর গড়ে তুলতে দুই বছর মেয়াদি এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর