তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সংসদে জানিয়েছেন, বর্তমান সরকারের সময়ে সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে। জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সরকার তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করেছে। নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশের লক্ষ্যে সরকার জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন, তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের বাজেট অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আরও জানান, গণমাধ্যমবান্ধব সরকারের উদার সম্প্রচার নীতিমালার কারণে বর্তমানে বেসরকারি খাতে ৪৬টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩৩টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ১০৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন পোর্টালকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। আরও ৪৬টির নিবন্ধন দেওয়ার কাজ চলছে।
এ ছাড়া নতুন করে ১৪টি টিভি চ্যানেলের অনলাইন পোর্টালের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচটিকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আরও জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের তহবিলে ৪৯ কোটি ৬৩ লাখ ২৭ হাজার ৮১ টাকা জমা রয়েছে। সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষার জন্য এককালীন মঞ্জুরি, বৃত্তি কিংবা স্টাইপেন্ড দেওয়ার খসড়া নীতিমালা ট্রাস্টি বোর্ডের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত ১ হাজার ৪২২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের ১২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে এ পর্যন্ত ৫৪২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৪ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।