বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ডিএনসিসির ছয় হাটে ডিজিটাল লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোরবানির পশুর হাটে নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করতে ছয়টি ‘স্মার্ট হাট’ চালু করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় এই স্মার্ট হাট কার্যক্রম চালাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ১ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত এসব হাটে ডিজিটাল লেনদেন করলে বাড়তি খরচ, যেমন- কার্ড ব্যবহারে কোনো চার্জ হবে না বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হলে কোনো ক্যাশ আউট চার্জ লাগবে না। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে এই স্মার্ট হাট কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ‘স্মার্ট হাট’ কার্যক্রমের আওতায় থাকছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গাবতলী, বসিলা, আফতাবনগর, ভাটারা, কাওলা ও উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরের হাট।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. খুরশীদ আলম, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সের চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্মার্ট হাটে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন করা হবে। ফলে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নগদ টাকা বহন করতে হবে না। হাটের বুথ থেকে ক্রেতারা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পিওএস, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, কিউআর কোডের মাধ্যমে অথবা বুথে স্থাপন করা এটিএম মেশিন থেকে নগদ অর্থ তুলে হাট থেকে কেনা গরুর মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। পাশাপাশি হাটের হাসিলও দিতে পারবেন এই পদ্ধতিতে। একই সুবিধা ব্যবহার করে বিক্রেতারা তাদের কোরবানির পশু বিক্রির অর্থ গ্রহণ করতে পারবেন। ক্রেতা-বিক্রেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে তারা হাটেই তাৎক্ষণিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। ব্যাংক প্রয়োজনে ডেবিট কার্ড সরবরাহ করবে।

প্রতিটি ব্যাংক তাদের বুথে দুটি পস মেশিন রাখবে। একটিতে হাসিল পরিশোধ করা যাবে, অন্যটিতে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন ক্রেতারা। স্মার্ট হাটের কার্ড স্কিম পার্টনার হিসেবে রয়েছে মাস্টার কার্ড এবং ভিসা আমেরিকান এক্সপ্রেস।

ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন ও পরিচালনা করবে ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক এবং সিটি ব্যাংক। এ ছাড়া মোবাইলে আর্থিক সেবা দেবে বিকাশ এবং ইসলামী ব্যাংকের এম-ক্যাশ।

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা নগদ টাকা নিয়ে হাটে যাবেন। ওই টাকাটা খোয়ানোর আশঙ্কা থাকে। পাশাপাশি মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে জীবনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে হাটে কোরবানির পশু বিক্রি করতে আসা কোনো খামারি যদি বলে আমার পকেট থেকে টাকা চুরি হয়ে গেছে এটা মানায় না পদ্মা সেতুর সঙ্গে, এটা মানায় না ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর