শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ঈদুল আজহার নামাজে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না। ঈদের জামাতে অংশ নিতে পরতে হবে মাস্ক। জামাতে দাঁড়াতেও হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। নামাজের অজু বাসা থেকে করার শর্ত আরোপ করাসহ আসন্ন ঈদুল আজহা উদ্যাপনে আট দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে এসব নির্দেশনা দিয়ে গতকাল জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ১০ জুলাই মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদ্যাপিত হবে। ঈদের দিন মুসলমানরা জামাতের সঙ্গে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করে থাকেন। দেশের সার্বিক বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপনে আট নির্দেশনা অনুসরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এগুলো হলো- ১. আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না। ২. সবাইকে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে ঈদগাহে বা মসজিদে যেতে হবে। ৩. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদ বা ঈদগাহের অজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। ৪. ঈদের নামাজের জামাতে অংশ নিতে মসজিদ বা ঈদগাহে মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে যেতে হবে। মসজিদ বা ঈদগাহে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ৫. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার ফাঁকা রেখে নামাজে দাঁড়াতে হবে। ৬. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে খতিব ও ইমামদের দোয়া করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ৭. খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি এবং স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং ৮. পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে বলা হয়েছে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সর্বশেষ খবর