শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

অজ্ঞাত আটজনের পরিচয় শনাক্ত

সীতাকুন্ড ট্র্যাজেডি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২৯ জনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তাদের লাশ মর্গে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ৩৩ দিন পর আটজনের পরিচায় শনাক্ত হয়। গতকাল রাতে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরিচয় শনাক্তকৃতরা হলেন- আখতার হোসেন, আবুল হাশেম, মনির হোসেন, বাবুল মিয়া, সাকিব, মো. রাসেল, মো. শাহজাহান ও আবদুস সোবহান প্রকাশ আবদুর রহমান। জানা যায়, সীতাকুন্ডের ঘটনায় মৃতদের অনেকের শরীর আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। চেহারা বিকৃত হয়ে যাওয়ায় অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

 

 চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবের টিম বুথ স্থাপন করে লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে অজ্ঞাত ও নিখোঁজ ২২ জনের পরিবারের ৪৩ সদস্যের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছিল। নমুনা পরীক্ষায় তাদের পরিচয় শনাক্তের পর লাশ হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাজিব পালিত বলেন, নিহত ৫১ জনের মধ্যে আগে ২৯ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছিল। বাকিদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। এখন ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে আটজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।

চমেক হাসপাতালে কর্মরত জেলা পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে আটজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এখন মর্গে আরও ১৪টি লাশ আছে।  

বিএম কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন : কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ গতকাল বিকালে নগরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএম কনটেইনার ডিপোর মূল প্রতিষ্ঠান স্মার্ট গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী। তিনি বলেন, অগ্নিকান্ডে হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শতাধিক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএম ডিপোর কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়েছে। ইতোমধ্যে ডিপোতে অক্ষত থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান আমদানি-রপ্তানি পণ্য খালাসের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী বলেন, নিহত ২৬ জন ও আহত ৪৩ জনের পরিবারকে ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৪ জুন শনিবার রাত ৯টায় চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকার বিএম কনটেইনারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ৫১ জন মারা যান এবং আহত হন তিন শতাধিক।

সর্বশেষ খবর