মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

নামিদামি মার্কেটে চোরাই আইফোন

ডিবির হাতে গ্রেফতার-৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

নামিদামি মার্কেটে চোরাই আইফোন

রাজধানীর নামিদামি মার্কেটে চোরাই আইফোন বিক্রি চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ৫ জুলাই যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে আইফোন ও স্যামসাংসহ পঁাঁচটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় মামলা হলে ছায়া তদন্ত শুরু করে ডিবির গুলশান বিভাগ। ডিবির তদন্তে রবিবার রাত থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত রাজধানীর অন্যান্য শপিংমল, ভাটারা ও কুমিল্লায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- অনিক হাসান, নাহিদ হাসান ও নাদিম মোহাম্মদ সাগর। এ সময় তাদের কাছ থেকে অ্যাপল, সনি ও স্যামসাংসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোট ৫৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এসবের বাজারমূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল-৪ এর ব্লক সি’র শেফা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল শোরুম থেকে তালা ভেঙে আইফোনসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় মামলা হয়। আমাদের তদন্তে দেখা যায় তিনজন স্মার্ট চোর দোকানের তালা ভেঙে ব্যাগভর্তি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে গেছে। কিন্তু সেখানে সিকিউরিটি গার্ড কেউ ছিল না। প্রথম দুজনকে গ্রেফতারের পর জানা যায় তারা যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে চুরি করা মোবাইল নিয়ে অন্য নামিদামি মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে দু-একটি করে বিক্রি করেছে। এরপর অন্য আরেকজনকে গ্রেফতারের পর জানা যায় তারা মোবাইল ফোন চুরির পর সেগুলো নামিদামি মার্কেটের মোবাইলের দোকানে বিক্রি করে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যমুনা ফিউচার পার্ক মার্কেটের চুরি হওয়া মোবাইলগুলো সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে লাগেজে আনা হয়। একদিকে তারা সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে অন্যদিকে মোবাইলগুলো যারা কিনছেন সেসব গ্রাহক মোবাইল রেজিস্ট্রেশন করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ মোবাইলগুলো চুরি হওয়ার পরে আইএমইআই নম্বর না থাকার কারণে সেগুলো উদ্ধার সম্ভব হয় না। এক সময় গুলিস্তানসহ আশপাশের বিভিন্ন মার্কেটে মোবাইল কেনাবেচা হতো। কিন্তু এ চক্রকে গ্রেফতারের পর জানা গেল তারা নামিদামি মার্কেটে মোবাইল বিক্রি করে। ডিবি বলছে, মোবাইল ফোন চুরির পর সেগুলোর কিছু বিক্রি করে নামিদামি মার্কেটে। আর কিছু ফোন রেখে দেয় মুদি দোকানের ময়লার ঝুড়িতে। ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, আমরা যখন চোর ধরে অভিযানে যাই তখন দেখা যায়, খিলক্ষেতের একটি বাসায় চোর নাহিদ হোসেনের মায়ের মুদির দোকানে একটি ময়লার ঝুড়িতে পলিথিনে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে বেশির ভাগ মোবাইল।

সর্বশেষ খবর