জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়ায় কক্সবাজারের আলোচিত মোরশেদ আলী ওরফে বলী মোরশেদ হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন বাতিল করেছেন হাই কোর্ট। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমী।

জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজকে পৃথক পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।

জানা যায়, গত ২৩ জুন হাই কোর্টে আসামি মোহাম্মদ আলী ওরফে মোহাম্মদের জামিন চেয়ে অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা আনসারী আবেদন করেন। হাই কোর্টের জামিন আবেদনে মামলার এফআইআরের সার্টিফায়েড কপি জমা দেওয়া হয়। সেখানে তাকে ২২ নম্বর আসামি দেখানো হয়। মূলত আসামি মোহাম্মদ মামলার ২ নম্বর আসামি। গত ৩০ জুন বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ মামলার শুনানি শেষে ওই আসামির অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।

আইনজীবী নুরুল হুদা আনসারী বলেন, আমার আইন পেশার এত বছরে কখনো এমনটি হয়নি। আসামি মোহাম্মদ আলী প্রকাশের জামিন করাতে সাহাবুদ্দিন নামে তার এক আত্মীয় আমাকে নথিপত্র দেন। এই আসামি যে মামলার ২ নম্বর আসামি তা আমি জানতাম না। সম্প্রতি জানতে পেরে মামলা তুলে নিতে এবং ওই আসামিকে আটকের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করি। 

গত ৭ এপ্রিল ইফতারের আগ মুহূর্তে রোজাদার মোরশেদ আলীকে জনসম্মুখে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় মোরশেদ আলী ইফতার পর্যন্ত প্রাণে না মারার আকুতি জানালেও মন গলেনি ঘাতকদের। পরে ৯ এপ্রিল এ ঘটনায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই জাহেদ আলী। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০ আসামি রয়েছে।