বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘শোক থেকে শক্তির অভ্যুদয়, স্বপ্নপূরণের দৃঢ়প্রত্যয়’ শিরোনামের মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালা। গতকাল ছিল এই আয়োজনের দশম দিন। এদিন ছিল ‘শিল্পের আলোয় শ্রদ্ধাঞ্জলি : সুকান্ত ও বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামের আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাঁশিতে করুণ সুর বাজানোর মধ্য দিয়ে সন্ধ্যায় একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে এ আয়োজন শুরু হয়। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে আলোচনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এরপর স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি সৌম্য সালেক। ‘দেশলাই কাঠি’ শিরোনামে কবিতা আবৃত্তি করেন দেওয়ান সাইদুর রহমান এবং ‘ছাড়পত্র’ শিরোনামে আবৃত্তি করেন অনন্যা লাবণী পুতুল।
একক সংগীত পরিবেশন করেন মাইনুল হাসান, খাইরুল আনাম শাকিল, মহিউজ্জামান চৌধুরী ময়না, শ্রেয়সী রায়, আল্পনা রায়, রতন মজুমদার, আবিদ হাসান সেতু, কেয়া দাস, জেরিন তাবাসসুম হক, মাহবুবুর রহমান শান্ত, আসমা আজমেরী, স্মরণ, রাজিয়া সুলতানা মুন্নী, সাদিয়াতুত তাইয়্যেবা, আনিকা আজহার প্রমুখ।
এ মহা জীবন আর এ কাব্য নয়, হে মহামানব একবার এসো ফিরে, রানার চলেছে রানার, শৃঙ্খল ভাঙা সুর বাজে পায়ে, হিমালয় থেকে সুন্দরবন হঠাৎ বাংলাদেশ, যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে, সেই রেল লাইনের ধারে, একবার যেতে দে না, সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি, আমার দেশের মতন এমন দেশ কি কোথাও আছে ইত্যাদি গানে গানে দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা ফুটে ওঠে সমগ্র মিলনায়তনে।সুজন মাহাবুবের অ্যাওয়ার্ড লাভ : ২৩তম নবীন শিল্পী চারুকলা প্রদর্শনী ২০২২-এ পারফরমেন্স আর্ট মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করেছেন তরুণ শিল্পী সুজন মাহবুব। তার উপস্থাপিত শিল্পকর্মের নাম ‘নিজের চরকায় তেল দে’ই। দেওয়া নেওয়া তথা ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ এর এই স্বার্থ সিদ্ধির লড়াইয়ে একজন বুদ্ধিজীবীর ভনিতায়, কপটতা ও চতুরতায় ও ছলনার বিচিত্র মায়াজালে সবাই নিজ নিজ স্বার্থ লাভের কেন্দ্রে পৌঁছে যায় এই বিষয়টিই ছিল তার পারফরমেন্স আর্টের মুখ্য বিষয়। পুরস্কার হিসেবে অর্থ সম্মানী, ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং উৎসব ক্যাটালগ প্রদান করা হয় শিল্পী সুজন মাহবুবকে।