আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার সুবিধাভোগী কারা তা আজ সুস্পষ্ট। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে ১৫ আগস্টের কুশীলবদের প্রতিহত করতে হবে। গতকাল সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড : অভ্যন্তরীণ ষড়ষন্ত্র ও মার্কিন যোগসাজশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমির হোসেন আমু বলেন, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রসহ চার মূলনীতি সংযোজনের কারণে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে যুক্ত না হলে ৯ মাসে স্বাধীন হতো না। রাশেদ খান মেননের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু হত্যা কোনো ব্যক্তি হত্যা ছিল না। ছিল না কিছু ‘বিপথগামী সেনা সদস্য’র হঠকারিতা।
এই হত্যার জন্য ’৭২ সাল থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তার বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পিছিয়েছে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পথভ্রান্ত হয়েছে।
আলোচনা সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের অনুপস্থিতির কারণে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয় ও সভা সঞ্চালনা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান।জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে যোদ্ধায় পরিণত করেছিলেন। এক কৌশলী নেতা হিসেবে সবকিছুকে সমন্বয় করেছিলেন। বাঙালি মন থেকে দ্বিজাতির তত্ত্বের ভিত্তিতে গড়া পাকিস্তান মনস্কতা দূর করেছিলেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাংবাদিক সোহরাব হাসান।