কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় ড্রাগন ফল চাষ বাড়ছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যহারে পশ্চিমসিংহ, বারেল্লা, নিমসার ও রাজাপুর গ্রামে ড্রাগন ফলের চাষ হয়েছে। এতে পুষ্টির জোগানের সঙ্গে সঙ্গে তরুণরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। উপজেলার পশ্চিমসিংহ গ্রামে দুই বিঘা জমিতে বাণিজ্যিক ড্রাগন বাগান গড়ে উঠেছে। বাগানটি দ্বিতীয় বছরে পা দিয়েছে, বর্তমানে ফল সংগ্রহ চলছে। প্রথম বছর ৩ লাখ টাকার অধিক মূল্যের ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন তরুণ উদ্যোক্তা মো. শাহ ইসরাইল। এ বছর বিনিয়োগের টাকা তুলে আনার প্রত্যাশা করছেন তিনি। বাগান ঘুরে দেখা যায়, ডালে ডালে ফোটার অপেক্ষায় রয়েছে ড্রাগন ফুল। ভালো ফলন নিশ্চিত করতে হাতে পরাগায়ণ করছেন উদ্যোক্তা। কিছু ফুলের কলি ডালগুলোতে উঁকি দিচ্ছে। কৃষক মো. শাহ ইসরাইল জানান, ড্রাগন চাষ লাভজনক- এ কথা জানতে পেরে গত বছর দুই বিঘা জমিতে বাগান শুরু করেন। নাম দেন সেবা অ্যাগ্রো ফার্ম। কিছু প্রতিবন্ধকতা দেখা দিলে উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেন। শুরুতে উপসহকারী কৃষি অফিসার মোছা. মনোয়ারা বেগম বাগানে এসে পরামর্শ দেন।
কিছুদিন পর থেকে বাগানটি নিয়মিত তত্ত্বাবধান করে আসছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার বানিন রায় জানান, কুমিল্লা জেলার জন্য ড্রাগন বেশ লাভজনক ফল। কারণ এ অঞ্চলের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা অন্যান্য অনেক জেলার চেয়ে বেশি। তাছাড়া ফলটির বাজারমূল্য ভালো। দুই বিঘা জমিতে ৭ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। দুই বছরে পুঁজি উঠে আসবে। বাগানটিতে সব কারিগরি সহায়তা দিয়ে আসছি। বাগানটির সফলতা দেখে আরও কয়েকটি নতুন ড্রাগন বাগান এ এলাকায় গড়ে উঠছে।