অটিস্টিক শিশুদের মেধার বিকাশ ও তাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জোগাতে নানা আয়োজন করেছে ‘বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন। ‘এসো মিলি সবে প্রাণের উৎসবে’ এই স্লোগানে আনন্দ উৎসবে শামিল হয়েছিল শিশুরা। বসুন্ধরা গ্রুপের ডিরেক্টর ও বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়াশা সোবহান এ অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেন। গতকাল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের নিজস্ব কনফারেন্স রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ইনচার্জ মেজর (অব.) মো. মোহসিনুল করিম, বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন স্কুলের হেড টিচার শায়লা শারমিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ১১৫ জন অটিস্টিক শিশু, তাদের মা-বাবা, শিক্ষকসহ উপস্থিত ছিলেন তিন শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি। অটিস্টিক শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, কবিতা আবৃত্তি, নাচ, গান, ডিসপ্লে প্রোগ্রামের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। এ ছাড়াও অটিস্টিক শিশুদের হাতে তৈরি হস্তশিল্প, হ্যান্ড প্রিন্টেড শাড়ি, গহনা, ব্যাগ, বিভিন্ন চিত্রকর্ম অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্মাননা দেওয়া হয়। এ সময় শিশুদের উদ্দেশে বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়াশা সোবহান বলেন, যতদিন বেঁচে আছি, আমার প্রাণের শিশুদের পাশে থাকতে চাই। ওদের নিয়ে বিশ্ব জয় করতে চাই। এ ছাড়াও তিনি বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের সবাইকে ধন্যবাদ জানান। বসুন্ধরা পেপার মিলসের বিক্রীত প্রতিটি পণ্যের একটি নির্দিষ্ট অংশ অটিস্টিক শিশুদের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়। অটিস্টিক ও অন্য সব ধরনের সুবিধাবঞ্চিত প্রতিবন্ধী শিশুর দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রজেক্টে ২০১৭ সালের ১ মার্চ থেকে যাত্রা শুরু করে বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন। দরিদ্র পরিবারের প্রতিবন্ধী শিশুরা এখানে শিক্ষা, একাডেমিক ও কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করছে। শারীরিক সুস্থতা, পড়ালেখার পাশাপাশি পাচ্ছে নানা ধরনের কারিগরি প্রশিক্ষণ। এখানে শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য রয়েছে সুসজ্জিত শ্রেণিকক্ষ, সেঞ্চুরি ইন্টিগ্রেশন পার্ক ও বড় খেলার মাঠ।