রাজধানীর উত্তরা এলাকায় লরি চাপায় পুলিশসহ দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় চালক আবদুল আল আজাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার চর ফকিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, শনিবার রাতে উত্তরার আবদুল্লাহপুর টঙ্গী ব্রিজের কাছে লরি চাপায় ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল কাজী মাসুদ (৩৮) এবং বাস কাউন্টারের স্টাফ জাহাঙ্গীর আলমের (২৮) মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে লরি চালক আজাদ নোয়াখালীতে লুকিয়ে ছিলেন বলে জানান ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি। তিনি বলেন, শনিবার রাতে উত্তরার আবদুল্লাহপুরে বেপরোয়াভাবে লরি চালানোর সময় দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল মাসুদ ও বাস কাউন্টার কর্মচারী জাহাঙ্গীরকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যান চালক আজাদ।
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান কনস্টেবল মাসুদ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মারা যান জাহাঙ্গীর। চালক আজাদ ভারী যান চালালেও তার লাইসেন্স আছে হালকা যান চালানোর। আবদুল্লাহপুরে পুলিশ সদস্যকে লরি চাপা দেওয়ার পর তিনি লরি ফেলে পালিয়ে শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। চাপা দেওয়া সেই লরিটিও (চট্টগ্রাম মেট্রো ঢ-৮১-২৬৩৯) জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল মাসুদের স্ত্রী রিমি আক্তার বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা করেন।