মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

খুলনায় গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষা

ছোট হয়ে আসছে তালিকা, আগ্রহীরা ব্যস্ত লবিংয়ে

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষা

খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রের ‘গ্রিন সিগন্যালের’ অপেক্ষায় রয়েছেন আগ্রহী আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। তফসিল ঘোষণার পর অনেকের নাম আলোচনায় থাকলেও মনোনয়ন দৌড়ে এরই মধ্যে তাদের অনেকে পিছিয়ে পড়েছেন। একাধিক নেতা বলছেন, দল চাইলে তারা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবেন। ব্যক্তিগত ইমেজ রক্ষায় দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে চান না কেউ। তবে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করে অনেকেই দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও গোপনে কেন্দ্রের শীর্ষ নেতাদের সমর্থন পেতে তদবির করছেন। জানা যায়, তফসিল ঘোষণার পর থেকে চেয়ারম্যান পদে দলের প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়। কে পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন- এমন আলোচনায় জায়গা পান নগর ও জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ সারির কয়েকজন নেতা। তবে দলের দুঃসময়ে ত্যাগী ও পরীক্ষিতদেরই মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে- কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের পর মনোনয়ন দৌড় থেকে অনেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বর্তমানে চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় রয়েছেন- জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী, সহসভাপতি এম এম মুজিবুর রহমান এবং দেলওয়ারা বেগম। এর মধ্যে শেখ হারুনুর রশীদ ও সুজিত অধিকারী দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। মুজিবুর রহমান এবং দেলওয়ারা বেগম দু-একদিনের মধ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবেন বলে জানা গেছে। আগ্রহী অন্যরা কেন্দ্রের গ্রিন সিগন্যাল না পেলে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন না। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে ছয়বার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছি। প্রার্থিতার বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী বলেন, ‘দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছি। যোগ্যতা, ত্যাগসহ নানা দিক মনোনয়ন বোর্ড বিবেচনা করবে। এতে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’ আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তারপরও চেয়ারম্যান পদে দল যাকে যোগ্য মনে করবে মেনে নেব। আমরা গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় আছি। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।’

এদিকে বিগত সময়ে খুলনা জেলা পরিষদে ১৫ জন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ বছর তা পরিবর্তিত হয়ে সাধারণ সদস্য পদ হয়েছে ৯টি ও সংরক্ষিত সদস্য পদ তিনটি। মোট সদস্য পদ সংথ্যা ১২টি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর