শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

রাজশাহীতে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে আরেকটি ধর্ষণ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর পুঠিয়ায় পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানের বিরুদ্ধে আরও এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। পুলিশ ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গতকাল দুপুরে রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর থেকে মেয়র আল মামুন পলাতক আছেন। ভুক্তভোগী ওই নারী (২৪) পুঠিয়া সদর এলাকার একজন কাঠ ব্যবসায়ীর মেয়ে। অপরদিকে মেয়র আল মামনু গ গোহালী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। পুলিশ জানায়, মেয়র আল মামুন তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দেন। গতকাল সকালে অভিযোগটি মামলাভুক্ত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, এক বছর আগে পৌরসভায় একটি চাকরির জন্য মেয়রের কাছে গিয়েছিলেন। এরপর তিনি বিভিন্ন প্রলোভনে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। একপর্যায়ে তার এই অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় তিনি তাকে বিয়ের প্রলোভনে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি মেয়র আর তাকে চাকরি বা বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেন।

 বিষয়টির প্রতিবাদ করায় তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন নারীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। যার কারণে মেয়রের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। ওই নারী আরও বলেন, মেয়র ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ও বিভিন্ন প্রলোভনে নিয়মিত বিভিন্ন নারীদের সঙ্গে অসামাজিক কাজ করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে আগেও থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল বারী মেয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার রাতে একজন নারী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন। গতকাল এটি মামলাভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর মেয়রকে আটকের চেষ্টা চলছে। তবে মেয়র পলাতক আছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের শুরুতে দুর্গাপুর উপজেলার হাসপাতালের একজন সেবিকাকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ ঘটায় ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে ওই সেবিকা সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বছর ১১ এপ্রিল মেয়রের লোকজন তাকে ব্যক্তিগত অফিসে তুলে এনে নির্যাতন করে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই সেবিকাকে মেয়রের চেম্বার থেকে উদ্ধার করে। পরে ওই রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মেয়রকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার কিছুদিন পর আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার তদবিরে বিষয়টি রফাদফা করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর