একসময় স্বর্ণশিল্পের গৌরবময় ঐতিহ্য ছিল। কিন্তু নীতিমালার অভাবে দিন দিন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যায় এ শিল্প। বাজুসের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের হাত ধরে স্বর্ণশিল্প হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে যাচ্ছে। এজন্য তিনি সারা দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এক ছাতার নিচে আনার চেষ্টা করছেন।
গতকাল বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সিলেট জেলা শাখা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। তাঁরা বলেন, একটি নীতিমালার অভাবে দেশের স্বর্ণশিল্প হুমকির মুখে পড়েছিল। কলঙ্কের তিলক পরে ব্যবসায়ীদের স্বর্ণ ব্যবসা করতে হচ্ছিল। সায়েম সোবহান আনভীরের দক্ষ নেতৃত্বে নীতিমালা হয়েছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা কলঙ্কমুক্ত হয়েছেন। এক বছর আগেও বাজুসের সদস্যসংখ্যা ছিল মাত্র ৮-১০ হাজার। সায়েম সোবহান আনভীর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর সারা দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ করার কাজ শুরু করেন। দেশের সব স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বাজুসের আওতায় আনতে প্রতিটি জেলায় মতবিনিময় ও সম্মেলন হচ্ছে। গতিশীল কমিটি গঠন করা হচ্ছে। দেশের স্বর্ণশিল্প আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আনভীর। তিনি বাজুসের মাধ্যমে দেশে স্বর্ণশিল্পে বিপ্লব ঘটাতে চান। বাজুস সিলেট জেলা সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান সওদাগরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাজুসের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এবং স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেসের চেয়ারম্যান গুলজার আহমদ।
প্রধান বক্তা ছিলেন বাজুসের সাবেক সভাপতি এবং স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাজুসের সহসভাপতি এবং ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বাজুসের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রুহুল আমিন রাসেল, বাজুসের সহসম্পাদক এবং ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং কমিটির সদস্যসচিব মো. জয়নাল আবেদীন খোকন। স্বাগত বক্তব্য দেন বাজুস সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক বাবুল আহমদ।পরে সিলেট জেলার নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন বোর্ড ও আপিল বোর্ডের সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়।