শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সোনা কেনাবেচায় সতর্ক করল বাজুস

বিশেষ প্রতিনিধি

দেশের জুয়েলারি শিল্পে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, শৃঙ্খলা ও ব্যবসার মান উন্নয়ন এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সতর্কীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ সেপ্টেম্বর সারা দেশে বাজুস সদস্যদের মাঝে ‘স্বর্ণ ক্রয় সতর্কীকরণ নোটিস’ জারি করেছে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্ট। সব প্রকার স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতাকে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সংশ্লিষ্টদের বিনীত অনুরোধ জানিয়েছে বাজুস। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান এনামুল হক খান দোলন। তার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সারা দেশে জুয়েলার্সদের সতর্কীকরণ নোটিস দিয়েছে বাজুস। নোটিসে বাজুস বলেছে, বাজুস সদস্যরা প্রয়োজনের তাগিদে দেশি-বিদেশি বা পুরাতন-নতুন স্বর্ণালংকার ক্রয় করে থাকেন। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে নানাবিধ আইনি জটিলতার সম্মুখীন হয়। একাধিকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও কোনো কোনো ব্যবসায়ী পুরাতন বা ব্যাগেজ রুলের স্বর্ণ ক্রয় করেও, নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে নিম্নলিখিত নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে পুরাতন স্বর্ণ বা ব্যাগেজ রুলের স্বর্ণ ক্রয় করার কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছে বাজুস। বাজুস বলেছে, নির্দেশনাগুলোতে পুরাতন স্বর্ণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে উভয় পাশের্^র ফটোকপি রাখতে হবে। ২. বিক্রেতার বিক্রয়কৃত স্বর্ণালংকারের উৎস সম্পর্কে জানতে হবে। ৩. বিক্রেতার স্বর্ণালংকারের ক্রয় রসিদের কপি থাকতে হবে। ৪. মূল মালিক ব্যতীত কোনো প্রতিনিধির নিকট থেকে অলংকার কেনা যাবে না। বাজুস ব্যাগেজ রুলের আওতায় আনা স্বর্ণ ক্রয়ে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে ক্রেতা ও বিক্রেতাকে দেওয়া পরামর্শে বলেছে- ১. বিক্রেতার পাসপোর্টের মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে ফটোকপি করে রাখতে হবে। ২. বিক্রেতা যে দেশ থেকে স্বর্ণ নিয়ে এসেছেন, সেই দেশের ভিসার কপি এবং এক্সিট ও অ্যান্ট্রি সিলের কপি রাখতে হবে (মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে ফটোকপি করে রাখতে হবে, এক্ষেত্রে বিক্রেতার নিকট থেকে উল্লিখিত ডকুমেন্টের কোনো ফটোকপি গ্রহণ করা যাবে না)। ৩. বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে উভয় পাশের্^র ফটোকপি রাখতে হবে। ৪. প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে স্বর্ণ ক্রয় করতে হবে। ৫. এয়ারপোর্টে ডিক্লিয়ারেশন বা ট্যাক্সের আওতায় থাকলে ট্যাক্স প্রদানের ডকুমেন্ট (মূল কপি সংরক্ষণ করতে হবে) ৬. প্রয়োজনে বিক্রেতার পরিচয় যাচাই-বাছাই করতে হবে। ৭. পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ট্যাক্স স্লিপে (পিওর গোল্ড ক্রয়ের ক্ষেত্রে) একই নাম, ঠিকানা আছে কি না তা যাচাই করে নিতে হবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও উল্লেখ করেছে, একজন যাত্রী বিদেশ থেকে দেশে আগমনকালে ব্যাগেজ রুলের আওতায় পণ্য আনার যে সুবিধা পায় তা তার ব্যক্তিগত বা পরিবারের সদস্যদের ব্যবহারের জন্য। তবে অর্থের প্রয়োজনে পণ্যটি বিক্রি করার ইচ্ছা পোষণ করলে উল্লিখিত তথ্যাদি বা ডকুমেন্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে ক্রয় করা যাবে। সব ক্ষেত্রে ক্রয় রসিদ প্রদান করতে হবে এবং বিক্রেতার স্বাক্ষরযুক্ত ক্রয় রসিদের কপি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৩ (তিন) বছর সংরক্ষণ করতে হবে। এ অবস্থায় বিক্রেতা যদি বর্ণিত তথ্য দিতে না পারেন, তাহলে বুঝতে হবে সেটা অবৈধ স্বর্ণ। তাই এ ধরনের বিক্রেতার নিকট থেকে স্বর্ণ কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। বারবার সতর্ক করার পরও কোনো জুয়েলারি ব্যবসায়ী যদি অবৈধ স্বর্ণ কিনে আইনি ঝামেলার সম্মুখীন হন, তাহলে বাজুস তাকে কোনো সহযোগিতা করবে না।

সর্বশেষ খবর