শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

কাদাপানি মেখেই স্কুলে যেতে হয় ওদের

রাহাত খান, বরিশাল

কাদাপানি মেখেই স্কুলে যেতে হয় ওদের

মাত্র ১৫০ ফুট রাস্তার দুরবস্থার কারণে পায়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়া শিক্ষার্থীদের কাদাপানি মাড়াতে হয়। খানাখন্দে পড়ে যানবাহনের চাকা। ফলে নোংরা কাদাপানি মাখা ইউনিফর্মে ক্লাস করতে হয় বরিশাল কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে। একই অবস্থার শিকার হতে হয় শিক্ষক-কর্মচারী এবং অভিভাবকদেরও। বরিশাল জিলা স্কুলের কলেজ শাখার জন্য নির্মিত অব্যবহৃত তিনতলা ভবনে ২০১৭ সালে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। এ কলেজের জন্য নগরীর বান্দ রোডে পাবলিক লাইব্রেরি লাগোয়া জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণকাজ চলছে। কাজ শেষ হতে সময় লাগবে অন্তত দুই বছর। ১ হাজার ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ শাখায়। শিক্ষক-কর্মচারীও রয়েছেন প্রায় অর্ধশত। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে আনা-নেওয়া করেন শত শত অভিভাবক। বটতলা-বাংলাবাজার সড়কের একটি শাখা সংযোগ সড়ক দিয়ে কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে যাতায়াত করেন বেশির ভাগ শিক্ষার্থী-অভিভাবক এবং শিক্ষক-কর্মচারীরা। কিন্তু ওই সড়কের প্রবেশমুখে দুটি স্থানে বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে এই দুর্ভোগ হচ্ছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, রাস্তাটি মোটামুটি ভালোই ছিল। পাশে মহিলা পলিটেকনিক এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রাবাস নির্মাণের জন্য নির্মাণসামগ্রী বোঝাই ভারী যানবাহন চলাচল করায় দুটি স্থানে ১০০ থেকে ১৫০ ফুট খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এতে বর্ষার সময় পানি জমে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খোন্দকার অলিউল ইসলাম বলেন, ‘সামান্য একটু রাস্তা খারাপ। ওই রাস্তা দিয়ে ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী চলাচল করে। রিকশা-গাড়ি নিয়ে ওই রাস্তায় চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্ষার সময় ওই সড়কে পায়ে হেঁটে যাওয়া যায় না। একটি গাড়ি ওই পথ দিয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কখনো কখনো গাড়ি বা অন্য যানবাহন গেলে কাদাপানি ছিটে শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম মেখে যায়। কাদাপানিতে মাখা ইউনিফর্ম নিয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। এতে তারা মানসিকভাবেও আহত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এমন দুরবস্থার মধ্যে যাতায়াত করছেন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা। মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ ফুট ভাঙা রাস্তা মেরামত করে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগহীন অবাধ যাতায়াতের ব্যবস্থা করার জন্য সিটি মেয়রের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’ 

ওই ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের এস্টিমেটর মো. শাওন জানান, কিছুদিন আগে ওই রাস্তার এস্টিমেট করা হয়েছিল। তখন ১০০ থেকে ১৫০ মিটার রাস্তা খারাপ ছিল। হালনাগাদ এস্টিমেট করে করপোরেশনে জমা দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বাশার বলেন, ‘কালেক্টরেট স্কুলে যাতায়াতের সড়কটির একাংশের দুরবস্থার খবর জেনেছি। বিষয়টি মেয়রকে অবহিত করে সংস্কারের জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ এদিকে সিটি করপোরেশন সূত্রও জানিয়েছে, শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার করা হবে।

সর্বশেষ খবর