ঝালকাঠির বাস শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদ ও নিরাপত্তার দাবিতে ঝালকাঠি-বরিশালসহ পাঁচ রুটে বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে ঝালকাঠি আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। হামলায় বাস ড্রাইভার, হেলপার ও সুপারভাইজারসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
জেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা জানান, দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে বাস পার্কিং নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় ঝালকাঠি-বরিশাল ও পটুয়াখালীর বাস শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ঝালকাঠির বাস শ্রমিকদের দাবি, বরিশাল ও পটুয়াখালীর বাস শ্রমিকরা মিলে ঝালকাঠির এক বাস ড্রাইভারকে প্রথমে মারধর করে। এর প্রতিবাদ করলে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে ঝালকাঠির ছয় বাস শ্রমিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। ড্রাইভারসহ আহত ঝালকাঠির সাত শ্রমিককে বরিশাল ও ঝালকাঠি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঝালকাঠি থেকে বরিশালসহ পাঁচ রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসংখ্য যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে বিকল্প যানবাহনে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গাড়ি সরাতে দেরি হওয়ায় বাস ড্রাইভারকে মারধর করে। এ সময় রূপাতলী বাস টার্মিনালে ঝালকাঠি সমিতির শ্রমিকদের খুঁজে খুঁজে ধাওয়া করে মারধর করে। আমাদের আহত শ্রমিকদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শ্রমিকরা ভয়ে বরিশাল যেতে চাচ্ছে না। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চালিয়ে যাব।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান জানান, বাস শ্রমিকদের মারধরের ঘটনায় বাস ধর্মঘট চলছে। শ্রমিক, মালিক ও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা চলছে।