জগন্নাথ কলেজ থেকে ২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রার ১৭ বছরে সমাবর্তন হয়েছে মাত্র একবার। ২০১৯ সালের ১১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তন আয়োজনের পর চার বছরে আরও ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সমাবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছেন। জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পর ২০১৯ সালে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। পুরান ঢাকার ধুপখোলা মাঠে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের উপস্থিতিতে ৯০ হাজার শিক্ষার্থী কালো গাউনে সমাবর্তন উদযাপন করেন। এরপর চার বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন করে সমাবর্তন আয়োজন করা হয়নি। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ সেশনের আংশিক শিক্ষার্থী প্রথম সমাবর্তনে অংশ নেন। সর্বশেষ ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থীরা স্নাতক শেষ করেছেন। আগামী ডিসেম্বরে ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীরা স্নাতক শেষ করলে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল, পিএইচডিধারী প্রায় ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সমাবর্তনের উপযুক্ত হবেন।
সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এক পরম চাওয়া সমাবর্তন। দীর্ঘ পড়াশোনা আর অধ্যবসায়ের পর অর্জিত ডিগ্রির সনদপত্র গ্রহণের কালো গাউনে উদযাপন করা সব শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। প্রায় চার বছর পর সমাবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছেন ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। নির্দিষ্ট সময়ে সমাবর্তনের আয়োজন না করলে এই জট আরও দীর্ঘতর হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ কে এম আক্তারুজ্জামাান বলেন, যে কোনো সময় সমাবর্তন আয়োজনের জন্য আমরা প্রস্তুত। আমাদের শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট ইস্যু করা খুব বেশি সময়ের ব্যাপার না। প্রশাসন থেকে ঘোষণা এলে আমরা কাজ শুরু করব।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, সমাবর্তন আয়োজন করতে হলে মহামান্য রাষ্ট্রপতির উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে নিরাপত্তার একটা বিষয় থাকে। আমরা রাষ্ট্রপতির সিডিউল চেয়েছি। সেটা পেলেই আমরা খুব দ্রুত সময়ে সমাবর্তন আয়োজন করব।