বরিশালে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস আটকে ২ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের ঘটনায় ডিবি নয় কোতোয়ালি থানা পুলিশের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থল এবং এর আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ওই ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানার দুজন উপ-পরিদর্শকের সম্পৃক্তরা পেয়েছেন তারা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান-৩ ও উপ-পরিদর্শক ইব্রাহীম খলিলকে নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত সোয়া ১০টার মধ্যে নগরীর বাংলাবাজার মোড় থেকে আমতলা পানির ট্যাংকি এলাকা পর্যটকবাহী একটি মাইক্রোবাসে বিয়ার আছে সন্দেহে তল্লাশি করতে চায় ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারীরা। বিয়ারসহ আটক করে থানায় সোপর্দ করার ভয় দেখিয়ে প্রথমে পর্যটকদের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। পরে দরকষাকষির এক পর্যায়ে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা এবং ৪ পিস বিয়ার নিয়ে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস ছেড়ে দেয় ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারীরা। এ ঘটনায় বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে টনক নড়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তাদের। তারা ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে শনাক্ত করেন। তারা হলেন কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান-৩ ও উপ-পরিদর্শক ইব্রাহীম খলিল। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ওই দুজনকে বুধবার পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। এ বিষয়ে বিএমপি’র উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ ভূঁঞা মুঠোফোনে বলেন, পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস আটকে অর্থ আদায়ের ঘটনায় প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দুজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।