ড্রাইভিং লাইসেন্স ও কোনো প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই বাস চালিয়ে আসছে মো. বাদল মিয়া। সোমবার তিনি রাজধানীর গুলিস্তান সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে হালিমা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে চাপা দেন। ঘটনার দিন বেপরোয়াভাবে আরেকটি বাসকে ওভারটেক করছিলেন তিনি। এ সময় দুই বাসের চাপা পড়ে হালিমার মৃত্যু হয়। মর্মান্তিক এ ঘটনার তিনঘণ্টার মধ্যে ঘাতক বাসটির চালককে গ্রেফতার করে র্যাব। গতকাল রাজধানীর টিকাটুলিতে র্যাব-৩ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সোমবার সকাল ১০টার দিকে হালিমা বেগম গুলিস্তানের সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। সেখানে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ চলাচলকারী আনন্দ পরিবহন বাসকে ঢাকা-নরসিংদী রোডের মেঘালয় পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়াভাবে ওভারটেক করছিল।
এ সময় বাস দুটির মধ্যে চাপা পড়ে হালিমা গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে বেলা ২টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এরপর বিকাল ৫টায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের পাচরুখী এলাকা থেকে চালক মো. বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি মেঘালয় পরিবহনের বাসের চালক। ঘটনার পর বাদল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বাদল ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে বলে দাবি করলেও সেটি দেখাতে পারেননি। তার ড্রাইভিংয়ের ওপর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণও নেই। এ ছাড়া ঘটনার দিন বাদল নেশা না করলেও তিনি প্রায়ই নেশা করেন বলে জানিয়েছেন।