বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

৮২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষি খাতে ব্যবহারের জন্য ১ লাখ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার আমদানিসহ চার ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৮২৪ কোটি ৪৯ লাখ ৬২ হাজার ১৩৫ টাকা। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির ভার্চুয়াল সভায় ক্রয় প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান অনলাইন ব্রিফিংয়ে জানান, ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঁচটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে চারটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট অর্থের পরিমাণ ৮২৪ কোটি ৪৯ লাখ ৬২ হাজার ১৩৫ টাকা। সভায় রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড, ইউএই থেকে প্রথম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ইউএই থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সারের মূল্য নির্ধারণ করে প্রতি মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ৬৩২.১৭ ডলার হিসেবে প্রথম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার ১০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৪ কোটি ৭২ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৫ টাকা।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে অষ্টম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কাতারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সারের মূল্য নির্ধারণ করে প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৬৩২.১৭ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার ১০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৪ কোটি ৭২ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৫ টাকা।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরব থেকে অষ্টম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ২০২০ সালে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তসমূহ অভিন্ন রেখে ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সৌদি আরব থেকে অষ্টম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার দরে প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সার ৭২৬.৫০ ডলার হিসাবে ২ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০৯ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।

সভায় পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলায় ৬১৪ মিটার পিএসসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ অবশিষ্ট পূর্তকাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের পূর্তকাজ ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি প্রতিষ্ঠান দর প্রস্তাবে অংশ নেয় এবং দুটি প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১০৫ কোটি ২৬ লাখ ১ হাজার ২৫ টাকা। অতিরিক্ত সচিব বলেন, সভায় চট্টগ্রামের রাউজানে টার্নকি ভিত্তিতে ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের একটি প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। ফলে এ প্রস্তাবটি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর