রাজধানীর আজিমপুরের একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর মৃত্যু-সংক্রান্ত রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তবে ওই ঘটনায় পুরান ঢাকার লালবাগ থানায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় বাড়ির গৃহকর্ত্রী নুরুন্নাহার বিথিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
গত ৫ অক্টোবর আজিমপুরের চায়না বিল্ডিং রোডের বাড়ি থেকে সাজেদা (৪৬) নামের ওই গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। সাজেদার মাথায় আঘাতের চিহ্ন এবং ঘরের মেঝেতে রক্ত পাওয়া গেছে। এ ছাড়া টেবিলের গ্লাসও ভাঙা অবস্থায় দেখা গেছে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ওইদিনই গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। চায়না বিল্ডিং রোডের বাড়িটির পঞ্চম তলায় মিজানুর রহমান ও বিথির বাসায় গত আড়াই মাস ধরে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন সাজেদা। মিজানুর রহমান পেশায় আইনজীবী। ওইদিন তাকে বাসায় রেখে বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে বাড়ির লোকজন বাইরে রেস্টুরেন্টে খেতে যান। সাজেদার সঙ্গে তারা বাইরে থাকা অবস্থায় ফোনে একবার যোগাযোগ করতে পারলেও পরে অনেকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে বাসায় ফিরে তারা দেখতে পান গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সাজেদা ঝুলে আছেন। পুলিশ ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) জাফর হোসেন গতকাল জানান, ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত করছি। আর ওই গৃহকর্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু আদালত তা মঞ্জুর করেনি। তবে এখন ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর রহস্য বের করা আরও সহজ হবে।
জানা গেছে, সাজেদা ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার দলিরকান্দা গ্রামের মৃত মমরুজ আলীর মেয়ে।