চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কালারপুল অহিদিয়া সেতু এবং আনোয়ারা উপজেলার বরকল সেতুর নির্মাণকাজ শেষ। এখন সেতু দুটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় নির্মিত সারা দেশের ১০১টি সেতু উদ্বোধন করার কথা। এ সময় সেতু দুটিও উদ্বোধন করা হবে। গতকাল সকালে নির্মাণকাজ শেষ হওয়া সেতু দুটির সর্বশেষ অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম-১। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবু নাছেরের নেতৃত্বে আসা মনিটরিং টিমের অন্য সদস্যরা হলেন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার, দোহাজারি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ প্রমুখ। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবু নাছের বলেন, মহাসড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার স্বার্থে এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ মহাসড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে দেশে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের কালারপুল ও বরকল সেতু দুটি গ্রামীণ জনপদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেতু দুটির কাজ শেষ। চলতি মাসেই উদ্বোধন করার প্রস্তুতি চলছে। সেতু দুটি দক্ষিণ চট্টগ্রাম এলাকার দুর্ঘটনা হ্রাস, যানজট নিরসন ও নিরবচ্ছিন্ন সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
জানা যায়, কর্ণফুলী উপজেলার কালারপুল অহিদিয়া সেতুটি প্রায় ১৮০.৩৭৩ মিটার দীর্ঘ ও ১০.২৫ মিটার প্রস্থ। সেতুর উভয় পাশে ৫৫০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সেতুটি পটিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে। অন্যদিকে, গাছবাড়িয়া-চন্দনাইশ-বরকল-আনোয়ারা সড়কের চাঁদখালী নদীর ওপর নির্মিত বরকল সেতু। ২৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ১১৭ দশমিক ৩১ মিটার এবং ও প্রস্থ ১০ দশমিক ২৫ মিটার। সেতুর উভয় পাশে ৭৭০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩.৭৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া এ সেতুর দুই পাশে ২.০১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ২০০ মিটার রিটেইনিং ওয়াল।