রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিকল্প ব্যবস্থা না করে গেট নির্মাণে সীমাহীন দুর্ভোগ

রাহাত খান, বরিশাল

বিকল্প ব্যবস্থা না করে গেট নির্মাণে সীমাহীন দুর্ভোগ

শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দেয়াল টপকে যাতায়াত করছে রোগী ও তাদের স্বজনরা

বিকল্প ব্যবস্থা না করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটক নির্মাণের কারণে হাজার হাজার রোগী ও স্বজনের দুর্ভোগ চলছেই। দুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করলেও এ বিষয়ে জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এদিকে রোগীদের দুর্ভোগের বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না ফটক বাস্তবায়নকারী সংস্থা গণপূর্ত বিভাগ। ১৯৬৮ সালে নির্মিত হাসপাতালের প্রধান ফটক গত মধ্য সেপ্টেম্বরে ভেঙে সেখানে নতুন ফটক নির্মাণের কাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। ১৬ ফুট উঁচু এবং ১০০ ফুট দীর্ঘ একটি পাকা ফটক নির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ টাকা। কাজ শুরুর পরপরই স্কেভেটর দিয়ে প্রধান ফটকে ১৬০ ফুট দীর্ঘ গর্ত করে বেড়া দিয়ে প্রধান গেট এবং প্রধান সড়কে চলাচল বন্ধ করে দেয় গণপূর্ত বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা জানান, এই হাসপাতালের আন্তঃওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ হাজার ৮০ রোগী চিকিৎসাধীন থাকেন। তাদের সঙ্গে থাকেন আরও অন্তত ৪ হাজার স্বজন। সরকারি খোলার দিনে বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখাতে আসেন আরও অন্তত ৩ হাজার রোগী। তাদের সঙ্গে থাকে হাজারো স্বজন। এ ছাড়াও প্রতিদিন হাসপাতালে আসা-যাওয়া করেন শতাধিক ডাক্তার, ৫ শতাধিক নার্স এবং কয়েকশ কর্মচারী। তাদের বেশির ভাগের চলাচল প্রধান ফটক দিয়ে। কিন্তু প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে রোগী-স্বজনরাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা। তাদের দাবি, গেট নির্মাণ কোনো অত্যাবশ্যকীয় বিষয় নয়। হাসপাতালের প্রধান বিষয় রোগী। রোগীদের চলাচলের পথ আটকে প্রধান গেট নির্মাণ অযৌক্তিক। বহির্বিভাগের রোগীদের দিনভর ভোগান্তির পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের রাতের বেলা বহুদূর ঘুরে ওষুধ আনতে হয়। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় দেয়াল টপকে মেডিকেলে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহতও হয়েছেন অনেক রোগী ও তাদের স্বজন। এ নিয়ে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ প্রতিদিনে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ হলেও আজ পর্যন্ত বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, প্রধান গেট আটকে দেওয়ায় প্রতিদিন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। গণপূর্তকে বিকল্প ব্যবস্থা করে গেট নির্মাণ করতে বলা হয়েছিল। তারা শোনেনি। তাদের আবারও বিকল্প ব্যবস্থা করে গেট নির্মাণে তাগিদ দেওয়া হবে। এদিকে বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, তিনি যোগদানের পর হাসপাতালের প্রধান ফটক নির্মাণের জন্য পরিচালক বহু তাগাদা দিয়েছেন। পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই গেট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। শিগগিরই প্রধান ফটকের একপাশ চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হবে। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে যাতায়াতের জন্য তিনটি ফটক রয়েছে। বেশির ভাগ রোগীসহ সংশ্লিষ্টদের চলাচল মাঝখানের প্রধান গেট দিয়েই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর