রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে উৎসব এবং শঙ্কা

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় জেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইমেজ বিরাজ করছে। এতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা স্থানীয় কোন্দল নিরসনে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। তারা বলছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভুল করলে তার প্রভাব সিটি করপোরেশন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পড়বে। মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। অপরদিকে দলীয় প্রভাব বিস্তার, আচরণবিধি লঙ্ঘন ও ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা শঙ্কার কথা বলছেন প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। জানা যায়, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ ও সাবেক সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজার মধ্যে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই সুজা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকালের পরও দুই শীর্ষ নেতার অনুসারীদের মধ্যে দ্বিধা-বিভক্তি রয়ে গেছে। চলতি জেলা পরিষদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন সুজার অনুসারীরা। শেখ হারুনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ক্রীড়া সংগঠক এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা এবং বিএমএ খুলনা জেলা সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ডা. শেখ বাহারুল আলম নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। দারা সাবেক সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজার ভাই ও ডা. বাহারুল আলম আওয়ামী লীগ নেতা সুজার অনুসারী। 

এর মধ্যে ডা. বাহারুল গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন, মোবাইল ফোনসহ সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ, ইভিএম বুথে ভোটার ব্যতীত অন্য কাউকে প্রবেশ না করতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে ভোটারদের হুমকি প্রদান করছে। ভোটারদের সঙ্গে করে কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন বলে হুমকি দিচ্ছে।

একইভাবে মোর্ত্তজা রশিদী দারা লিখিতভাবে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার ব্যক্তি ও সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন।

তবে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, ২০২৩ সালের সিটি করপোরেশন ও ২০২৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই তৃণমূলে মাঠ গোছাতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। দলে শৃঙ্খলা ও ঐক্য ফেরাতে জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ‘রিহার্সাল’ (মহড়া) হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নেতারা। তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

এদিকে নির্বাচন বিশ্লেষক ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন)  জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরাত-ই খুদা বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে সরকার ও নির্বাচন কমিশন মানুষকে আস্থা অর্জনের বার্তা দিতে পারে। ছোট্ট পরিসরে এ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে আস্থা নষ্ট হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর