মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

সৌদি ভিসার পাসপোর্ট জমা নিয়ে অচলাবস্থা চলছেই

দিনভর অপেক্ষা করেও জমা দিতে পারেনি কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

দেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবের ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমা দেওয়ার অচলাবস্থা তিন দিনেও কাটেনি। গতকাল দিনভর অপেক্ষা করেও সৌদি দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দিতে পারেনি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। দূতাবাস ও বায়রার মধ্যে মতভিন্নতার কারণে শুরু হওয়া এ অচলাবস্থায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ বিদেশ গমনেচ্ছুরা। রিক্রুটিং এজেন্টরা জানান, সৌদি দূতাবাস ঢাকায় ‘শাপলা সেন্টার’ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৫ অক্টোবর থেকে পাসপোর্ট জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত সব এজেন্টকে চিঠি দিয়ে জানায় দূতাবাস। এরপর ১২ অক্টোবর বায়রার কার্যনির্বাহী কমিটি এক জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়, সৌদি দূতাবাসের নিয়োগ দেওয়া কোম্পানির মাধ্যমে পাসপোর্ট জমা দেওয়া হবে না। সব সদস্যের মত নিতে শনিবার আরেকটি জরুরি সভার আয়োজন করে বায়রা। সেখানে এই কোম্পানির মাধ্যমে পাসপোর্ট জমা না দেওয়ার জন্য সদস্যদের আহ্বান জানায়। সভায় উপস্থিত সদস্যরা এ আহ্বানে সাড়া দেন। পরে রবিবার বায়রার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত। সেই বৈঠক শেষে বায়রা সভাপতি মো. আবুল বাশার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত এ ধরনের পরিস্থিতির কথা জানতেন না। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন তৃতীয় পক্ষ শাপলা সেন্টারের মাধ্যমে পাসপোর্ট নেওয়া হবে না, আগের মতোই সরাসরি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সৌদি দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দিতে পারবে। সোমবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।’ কিন্তু গতকাল এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি।

সকাল থেকে রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিনিধিরা পাসপোর্ট নিয়ে দূতাবাসের সামনে অপেক্ষা করলেও তাদের পাসপোর্ট জমা নেওয়া হয়নি।

বায়তুল ওভারসিজ রিক্রুটিং এজেন্সির আমিনুল ইসলাম শামিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা পাসপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য দূতাবাসের সামনে অপেক্ষা করছি। একবার লাইন ধরে দাঁড়িয়েছি, পরে তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এমনটাই চলছে সারা দিন। পরে দূতাবাসের দুই কর্মকর্তা এসে জানিয়েছেন জমা নেওয়া হবে না।’

বায়রা সভাপতি আবুল বাশার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দূতাবাসের সর্বোচ্চ প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমা না নেওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা দু-এক দিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সব রিক্রুটিং এজেন্সি বসে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর