‘খুলনার মহেশ্বরপাশা থেকে গৃহবধূ রহিমা বেগম অপহরণ হননি, স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন। এছাড়া অপহরণের কথা উল্লেখ করে দায়ের করা মামলার আসামিরাও এ অপরাধে জড়িত নন।’ গতকাল খুলনায় চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দিতে এসব কথা জানান রহিমা বেগমের ছেলে ও আলোচিত মরিয়ম মান্নানের ভাই মোহাম্মদ মিরাজ আল শাদী। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, খুলনা পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রহিমা বেগম অপহরণ মামলায় মিরাজ আল শাদী সাক্ষী ছিলেন। গতকাল ১২ টার দিকে তিনি পিবিআই কার্যালয়ে হাজির হয়ে মায়ের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেওয়ার কথা জানান। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি জবানবন্দি দেন। জানা যায়, আদালতে মিরাজ বলেছেন, রহিমা বেগম বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে থেকে মিথ্যা কথা বলেছিলেন। এটা তার ইগোতে লেগেছে। এজন্য তিনি স্বেচ্ছায় মায়ের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিতে চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার মেয়ে আদুরী আক্তার থানায় অপহরণ মামলা করেন। ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে পুলিশ রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে। এর আগে রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান তার মা অপহৃত হয়েছেন জানিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন ও উদ্ধার হওয়া এক নারীর লাশকে নিজের মা দাবি করেন। এ ঘটনায় সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে।