স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, শেখ রাসেল ছিল বন্ধুবৎসল, গরিবদের জন্য ছিল তার অপার ভালোবাসা। আজ শিশু রাসেলের জন্মদিনে শপথ হোক কোনো শিশু যেন নির্যাতন, সন্ত্রাস ও নৃশংসতার শিকার না হয়।
গতকাল সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উদ্যোগে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শিশুমেলা ও সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। পরে বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শিশুরা দেশ ও জাতির সম্পদ। শিশুদের ভালোবাসতে হবে। তাদের কথা ধৈর্য সহকারে শুনতে হবে। তাদের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রয়োজনের প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে। শ্রমে নিয়োজিত, দারিদ্র্য জর্জরিত শিশুদের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশুদের কল্যাণে শিশু আইন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শিশুনীতি, শিশুশ্রম নিরসন নীতিসহ বহু কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে অধিবেশন দেখার জন্য শিশু গ্যালারি রয়েছে।ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আদরের ছোট ভাই শিশু শেখ রাসেলকে মাত্র ১০ বছর বয়সে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে হত্যা করা হয়। মায়ের কাছে নিয়ে যাবে বলে সেদিন শিশু রাসেলকে হত্যা করা হয়। আজ শিশু রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন। সে বেঁচে থাকলে আজ নিজেকে দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতো। নবপ্রজন্মের শিশুদের মাঝে শেখ রাসেলের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।