জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ বা খাদ্য সংকট নিয়ে জনমনে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে, এজন্য খাদ্য নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে জাতীয় খাদ্য কাউন্সিল গঠন করতে হবে। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতায় বাংলাদেশের অবস্থান বেশ অবনতিশীল। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বৈশ্বিক সরবরাহ- খাদ্য, সার ও জ্বালানি সংকটে বিপর্যয়কর রূপ নিতে পারে। সর্বোপরি অর্থনৈতিক সংকট গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। রব বলেন, খাদ্য সংকট চরম বিপর্যয়ের নিকটবর্তী হওয়ার আগেই ১৭ কোটি মানুষের জীবন বাঁচানোর প্রশ্নটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করা উচিত। এজন্য খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, কৃষিবিদ, অর্থনীতিবিদ, ভূ-রাজনীতির বিশ্লেষকসহ পেশাজীবী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দ্রুত ‘জাতীয় খাদ্য কাউন্সিল’ (National Food Council- NFC) গঠন অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
বিবৃতিতে তিনি কয়েকটি দাবি জানান। দাবিগুলো হচ্ছে- অবিলম্বে জাতীয় খাদ্য সহায়তা তহবিল গঠন; খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ; কৃষি জমি সুরক্ষা ও সর্বোচ্চ ব্যবহারের আওতায় আনা; খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, সংরক্ষণ ও বিতরণে সমন্বিত আধুনিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা; সার, ডিজেলের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা; সামাজিক সুরক্ষার আওতাকে আরও সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করা; পুষ্টিহীন শিশুদের সুষম খাবারের সংস্থান করা; জীবিকাবিহীন, বেকার কর্মক্ষম মানুষদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা; বিশ্ববাজার থেকে খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক জোরদার করা; মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে বহুমুখী উদ্যোগ ও কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা; ‘একমুখী উন্নয়ন দর্শন’ পরিহার করে মানব উন্নয়ন কেন্দ্রিক ‘গণমুখী ও অংশীদারিত্বমূলক উন্নয়ন দর্শন’ প্রবর্তন করা।